ব্রেকিং নিউজঃ আবার উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বিজয়ের দুই মাস পর আবার সেই একই স্লোগান নিয়ে রাজপথে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা। আগামিকাল রাত ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হল পাড়া থেকে মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যান ছাত্ররা। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কয়েকজন সমন্বয়ক কর্তৃক ‘তুমি কে, আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, ‘কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার’ স্লোগানকে বিকৃত করা হয়েছে অভিযোগ করে আবারও একই স্লোগান তোলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, ‘কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার’, ‘বিকৃতি চলবে না, সাক্ষী আছে জনতা’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
আপনারা জানেন যে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৪ জুলাই এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?’
এসব মন্তব্যের পর রাতেই প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলের ভেতরে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে এবং বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিভিন্ন হল থেকে মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়। এরপর তা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, দুই মাস পূর্তি হওয়ার দিনে কয়েকজন সমন্বয়কারী স্লোগানকে বিকৃত করে আরেকটি শ্লোগান ছড়ানোর চেষ্টা করেন।
রাজু ভাস্কর্যে পাদদেশে সমাবেশে সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক ইবনে আলী বলেন, ‘অভ্যুত্থানের দুই মাস যেতে না যেতেই ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা শুরু করছে একদল অপতৎপরতাকারী। তারা সহস্রাধিক শহীদের রক্তের উপর প্রতিষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি চিহ্ন মুছে দিতে চায়। মুগ্ধ-আবু সাঈদের সহোযোদ্ধারা এই চক্রান্ত বাস্তবায়ন হতে দিবে না।’
আন্দোলনের আরেক সহ-সমন্বয়ক এবি জুবায়ের বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের রাজাকারের নাতিপুতি বলার পর হল থেকে শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ প্রতিবাদ করে। আমাদের বোনেরা হলের তালা ভেঙে বের হয়ে পরে। যে স্লোগান আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়েছে, পরের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হামলার শিকার হয়েছে, সারাদেশের মানুষকে জাগিয়ে তুলেছে সেই ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগান বলতে এতো হীনমন্যতা কেন?মূল স্লোগানকে এড়িয়ে যারা বিক্ষিপ্ত অন্যান্য স্লোগানকে ফোকাস করে তারা জুলাই বিপ্লবের চেতনার বিরুদ্ধে, ইনসাফ-ভিত্তিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে।’ এসময় তিনি স্লোগান বিকৃতিকারীদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।