‘টুস করে ফেলে দিবো, পদ্মা নদীর পানিতে চুবাবো’
আজ রোববার চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই ঘটনায় ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একমাত্র আসামি করা হয়।
ড. ইউনূস এবং বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া এবং ড. ইউনূসকে পানিতে চুবানোর কথা বলেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বেআইনি পন্থায় সব বাহিনী এবং প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করতেন। ২০২২ সালের ১৮মে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। যেখানে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে নিয়ে খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেওয়া উচিত’। একই সঙ্গে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধের চেষ্টায় নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা নদীতে দুটি চুবানি দিয়ে সেতুর ওপর তোলা উচিত বলে মন্তব্য করেন। এসব মন্তব্যের মাধ্যমে বিষোদ্গার করে বেগম খালেদা জিয়া ও দেশের একমাত্র নোবেল লরিয়েট ড. ইউনূসকে হত্যার সুপ্ত ইচ্ছা ব্যক্ত ও মানহানি করেছিলেন তিনি।
তিনি বেগম খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে এবং হত্যার ষড়যন্ত্র করে, হত্যার জন্য প্ররোচনা দিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন তথা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও কৃষকলীগের সন্ত্রাসীদের প্ররোচিত করেছিলেন।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল বলেন, ‘২০২২ সালের ১৮ মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী একটি সংবাদ সম্মেলনে তার দেওয়া বক্তব্যে সাবেক বেগম খালেদা জিয়া এবং বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দেওয়ার অভিপ্রায় জানান। যেটির দ্বারা তাদেরকে হত্যার সুপ্ত ইচ্ছা ব্যক্ত ও মানহানি হয়। তখন পরিস্থিতি বিবেচনায় বাদী মামলা না করলেও বর্তমানে যেহেতু বাকস্বাধীনতা ফিরে এসেছে তাই শেখ হাসিনাকে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।’
মামলার বাদী সৌরভ জানান, এতদিন মামলা করার পরিবেশ ছিল না। আমার নেত্রীকে হত্যার হুমকির বিচার চেয়ে মামলা করেছি। আমি চাই এর সুষ্ঠু বিচার হোক।