টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব নিয়ে প্রথমেই যে বাধার মুখে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
বাংলাদেশে অস্থিরতার কারণে সেখান থেকে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের দরজায় কড়া নাড়ল বাংলাদেশ।
যেকোনো পরিস্থিতিতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ। এই প্রতিযোগিতা আসন্ন অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে অস্থিরতার কারণে সেখান থেকে বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে আইসিসি। বিকল্প দেশ খুঁজছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের দরজায় কড়া নাড়ল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং এর ফলে সৃষ্ট সহিংসতা এখনো থামেনি। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন। নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করা হয়েছে। এর পরও অশান্তি অব্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারত, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলো তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছে। এ কারণে বাংলাদেশের ওপর চাপ বাড়ছে।
জাতিসংঘই এখন বাংলাদেশের শেষ ভরসা। অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, জাতিসংঘের বৈঠকে তিনি বিষয়টি উত্থাপন করবেন। তিনি আবেদন করবেন কোনো দেশ যেন তার নাগরিকদের বাংলাদেশে যেতে বাধা না দেয়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের বিদায় বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে সংশয়ের আরেকটি কারণ। কে বোর্ড পরিচালনা করবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। আসিফ বলেন, ক্রিকেট পরিচালনায় যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য ক্রিকেট বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তাদের একসঙ্গে কাজ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আসিফ বলেন, “ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির খোঁজ নেই। কিন্তু তাই বলে তো কাজ থেমে থাকবে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড স্বশাসিত সংস্থা। তাই আমরা কোনও নির্দেশ দিতে পারব না। অনুরোধ করতে পারব। আইসিসির নিয়মের মধ্যে থেকে বিশ্বকাপের আয়োজন দ্রুত সেরে ফেলার অনুরোধ করেছি। বাংলাদেশ বোর্ডে যাতে দুর্নীতি না হয় সে বিষয়েও আমরা কথা বলছি। পুরো ব্যবস্থায় বদল আনতে হবে।”