বিশেষ জাতের শিম বিদেশে রপ্তানি করে আয় ৮৫ কোটি টাকার
বিশেষ জাতের শিম বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন গুলাবগঞ্জের কৃষকরা। এই শস্যগুলি মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপ সহ বিশ্বের ১৩ টি দেশে রপ্তানি হয় যার মূল্য বার্ষিক প্রায় ৮৫ কোটি টাকা।
বিশেষ জাতের এই শিম উৎপাদনে উপজেলার প্রায় পাঁচ হাজার কৃষক জড়িত। গবেষণা করে জানা যায়, লক্ষ্মণবাঁধ, লক্ষ্মীপাশা ও ফুলবাড়ী উপজেলা ইউনিয়ন ফুলবাড়ী রাজ্য হিসেবে পরিচিত। যেদিকে তাকায়, সেদিকেই কেবল শিম আর মটরশুটি দেখা যায়। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পিক মৌসুমে শিম দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং বিদেশে রপ্তানি করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৮৪০ হেক্টর জমিতে ১৭ হাজার মেট্রিক টন শিম উৎপাদন হয়েছে। এবার ৮৫ কোটি টাকার বেশি মূল্যের শিম রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর এসব উপজেলায় ১৬ লাখ মেট্রিক টন গোলগাদা শস্য উৎপাদিত হয়েছিল।
লক্ষ্মণাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেকুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, এ ইউনিয়ন গোয়ালগাদ্দা শিমের জন্য প্রসিদ্ধ। এ ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় শিম উৎপাদন করেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাশরেফুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, গোয়ালগাদ্দা শিম খুবই জনপ্রিয়। উপজেলার সব জায়গায় এ শিম উৎপাদন হলেও বাণিজ্যিকভাবে করা হয় লক্ষ্মণাবন্দ, লক্ষ্মীপাশা ও ফুলবাড়ী ইউনিয়নে। উপজেলার ৪ হাজার ২৫০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাদের যে সহায়তা দেওয়া হয় তা অপ্রতুল। তাদের আরও বেশি সহায়তা দেওয়া হলে শিম উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। এ বছর ১৭ হাজার মেট্রিক টন গোয়ালগাদ্দা শিম উৎপাদন হয়েছে। এতে ৮৫ কোটি টাকার বেশি শিম রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে।