বুমরা কি কলকাতায় আসতে পারে, আইপিলের ট্রেডিং যা বলে

জসপ্রীত বুমরা কি কলকাতা নাইট রাইডার্সে আসতে পারেন? প্রাথমিক ভাবে মনে হতেই পারে, বুমরাকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স রিটেন করেছে। কী ভাবে নাইট রাইডার্সে যোগ দেবে! বাস্তব বলছে, সম্ভব। হার্দিক পান্ডিয়াকেও তো রিটেন করেছিল গুজরাট টাইটান্স। সেই তালিকা প্রকাশের দু-ঘণ্টার মধ্যেই তো চিত্রটা বদলে গেল! ট্রেডিংয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ফিরেছেন হার্দিক। যেখানে আইপিএল কেরিয়ার শুরু হয়েছিল, সেখানেই ফেরা। তার আগেও বেশ কিছু ট্রেডিং হয়েছে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের রিটেনশন লিস্ট দেখলে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে, অভিজ্ঞ পেসার প্রয়োজন। ‘অভিমানী’ বুমরাকে যদি কেকেআর নেওয়ার চেষ্টা করে? হতেই পারে, আগামী আইপিএলে কেকেআর জার্সিতে খেলছেন বুমরা! আলোচনার বিষয় যদিও সেটা নয়। সম্ভাবনা রয়েছে, সেটাই একটু ছুঁয়ে যাওয়া। আসলে গত কয়েক দিন হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে যেমন হইচই হচ্ছে, তাতে একটা ভাবনা হয়তো অনেকের মনেই ঘুরছে, আইপিএলে এই ট্রেডিং বিষয়টা কী ভাবে হয়? বিস্তারিত রইল
আইপিএলে এই ট্রেডিং বিষয়টা কী? কোন সময় হতে পারে…
কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি একজন প্লেয়ারকে নিয়েছে। কিন্তু সেই প্লেয়ারকে ট্রেডিং উইন্ডোতে অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি নিল। এক্ষেত্রে অবশ্য দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যেই আলোচনার মধ্যেই হয়। ট্রেডিংয়ে অল-ক্যাশ ডিল হতে পারে, আবার প্লেয়ার অদল-বদলের মধ্যেও ট্রেডিং হতে পারে। আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, এক মরসুম শেষ হওয়ার এক মাস পর ট্রেডিং উইন্ডো শুরু হয়। পরবর্তী নিলামের তারিখের এক সপ্তাহ আগে অবধি এই ট্রেডিং উইন্ডো খোলা থাকে। নিলামের পর ফের উইন্ডো খোলে। পরপর্তী সংস্করণ শুরুর একমাস আগে বন্ধ হয়। এ বারের উদাহরণই দেওয়া যাক। ১৯ ডিসেম্বর নিলাম। তার এক সপ্তাহে আগে অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর অবধি ট্রেডিং উইন্ডো খোলা রয়েছে। অকশনের পর দিন অর্থাৎ ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ আইপিএল শুরুর এক মাস আগে পর্যন্ত উইন্ডো খোলা থাকবে।
ট্রেডিংয়ের এই নিয়ম কি আগেও ছিল?
অবশ্যই। আইপিএল শুরু হয় ২০০৮ সালে। পরের মরসুম থেকেই ট্রেডিংয়ের এই নিয়ম কার্যকর হয়। তৎকালীন দিল্লি ডেয়ারডেভিলস থেকে আশিস নেহরার পরিবর্তে শিখর ধাওয়ানকে নিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
একমুখী ট্রেডিং বিষয়টা কী?
এক টিম থেকে আর এক টিমে অল-ক্যাশ ডিলে গেলে, সেটিই একমুখী ট্রেডিং। নিলামে সেই প্লেয়ারকে যে টাকায় নিয়েছিল তাঁর টিম, একই অঙ্কে আর এক টিম তাঁকে নিতে পারে। এটিই অল-ক্যাশ ডিল। হার্দিক পান্ডিয়ার ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, ২০২২ সংস্করণে গুজরাট টাইটান্স অকশনে যে টাকায় হার্দিককে নিয়েছিল, সেই টাকাতেই মুম্বই তাঁকে নিতে পারত। এর আগেও অল-ক্যাশ ডিল হয়েছিল আইপিএলে। ২০২২ সালে গুজরাট টাইটান্স থেকে লকি ফার্গুসন ও রহমানুল্লা গুরবাজকে অল-ক্যাশ ডিল ট্রেডিংয়ের মাধ্যমেই নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
দু-তরফা ট্রেডিং কী?
এর ক্ষেত্রে সহজ উত্তর, ট্রেডিংয়ের মাধ্যে দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি নিজেদের মধ্যে প্লেয়ার অদল-বদল করতে পারে। সেই প্লেয়ারদের অর্থের যে গ্যাপ থাকে সেটা মিটিয়ে দিতে হয়। ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে শুধুই কি ফ্র্যাঞ্চাইজির সিদ্ধান্ত না প্লেয়ারও মত দিতে পারে কিংবা নিজে থেকে অন্য দলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন?
ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে সেই প্লেয়ারদের অনুমতি বাধ্যতামূলক। হার্দিকের ক্ষেত্রে যেমন গুজরাট টাইটান্সের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট বিক্রম সোলাঙ্কি জানিয়েছিলেন, ‘হার্দিকই ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল’ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ফেরার। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৫ কোটি দিয়ে গুজরাট থেকে অল ক্যাশ ডিলে হার্দিককে নিয়েছে। মনে পড়ে, জাডেজা যখন এক টিমে থাকাকালীন অন্য টিমের সঙ্গে দলবদল নিয়ে আলোচনা করেছিলেন, তাঁকে নির্বাসিত করা হয়েছিল?
সেটা ২০১০ সালে। রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে চুক্তি নবীকরণ করেননি জাডেজা। এর মাঝেই মুম্বইয়ের সঙ্গে দরকষাকষি করেন জাডেজা। আইপিএলের তরফে জানানো হয়েছিল, এটি নিয়মবিরুদ্ধ। অনুমান করা যায়, জাডেজা যদি চুক্তি নবীকরণের পর এই আলোচনা করতেন এবং মুম্বইয়ের বিষয়টি রাজস্থানকে জানাতেন, হয়তো তাঁকে নির্বাসিত হতে হত না।
কোনও প্লেয়ার যদি অন্য দলে যেতে চান, কিন্তু তাঁর বর্তমান ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে ছাড়তে রাজি না হয়?
এসব ক্ষেত্রে ফ্র্যাঞ্চাইজির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কলকাতা নাইট রাইডার্স যদি বুমরাকে নিতে চায় এবং বুমরাও যদি রাজি থাকেন, সেক্ষেত্রে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অনুমতি প্রয়োজন। তারা বুমরাকে ছাড়তে না চাইলে, ট্রেডিং হবে না। সাধারণত, কোনও অনিচ্ছুক প্লেয়ারকে জোর করে রাখার কোনও যৌক্তিকতা নেই। তাঁকে বোঝানো যেতে পারে, তাতেও না হলে ছেড়ে দেওয়া হতেই পারে!
ট্রেডিংয়ে ট্রান্সফার ফি কী জিনিস? সেটা কে ঠিক করে? এর কী কোনও সীমা থাকে?
যে প্লেয়ারকে নেওয়া হচ্ছে সেই অর্থ ছাড়াও আলাদা করে ট্রান্সফার ফি দিতে হয়। হার্দিকের ক্ষেত্রে ১৫ কোটির বাইরেও গুজরাট টাইটান্সকে ট্রান্সফার ফি দিয়েছে। সেই অঙ্ক অবশ্য প্রকাশ করা হয়নি। দু-দলের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই ট্রান্সফার ফি ঠিক হয়। আইপিএল কমিটি এবং দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছেই ট্রান্সফার ফির অ্যামাউন্টের তথ্য থাকে।
ট্রান্সফার ফি থেকে সংশ্লিষ্ট প্লেয়ারও কি কোনও অংশ পান?
হ্যাঁ। চুক্তি অনুযায়ী, ট্রান্সফার ফি-র ৫০ শতাংশ পান। তবে এটা নির্ভর করে সেই প্লেয়ার যে ফ্র্যাঞ্চাইজি ছাড়ছেন তাদের মধ্যে আলোচনায় ঠিক হয়। তবে সেই প্লেয়ার ট্রান্সফার ফির ভাগ পাবেনই, এর গ্যারান্টি নেই।
ট্রান্সফার ফি-র জন্য কি সেই ফ্র্যাঞ্চাইজির নিলামের পার্সে কোনও প্রভাব পড়ে?
না। হার্দিকের ক্ষেত্রে যেমন ধরা যাক। হার্দিককে যে টাকায় নেওয়া হয়েছে অর্থাৎ ১৫ কোটিই কমবে মুম্বইয়ের পার্স থেকে। ট্রান্সফার ফি-র প্রভাব মুম্বইয়ের পার্সে পড়বে না। নিলামের পার্সের সঙ্গে ট্রান্সফার ফির সম্পর্ক নেই।
তাহলে কি তথাকথিত বড় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিকে বিশাল অঙ্কের ট্রান্সফার ফি দিয়ে কোনও প্লেয়ারকে নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজি করাতে পারে?
অনেকাংশে বলা যায়। যদিও ট্রান্সফার ফি-র অঙ্ক যত বড়ই হোক, অকশন পার্সে সেই প্লেয়ারের যে অর্থ, সেটা থাকতেই হবে। এবং সেই প্লেয়ারের অনুমতিও লাগবে। এ ছাড়া ট্রেডিং সম্ভব নয়।
- মাঠে নামছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা, জানুন সময়সূচি
- জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা
- বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ে যা বললেন নেইমার
- এশিয়া কাপ ২০২৫: ৮ দলের চুড়ান্ত স্কোয়াড ও কাদের বিপক্ষে কবে খেলবে টাইগাররা
- শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর,দেখেনিন তালিকা
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২৭ আগস্ট)
- প্রবাসীদের জন্য চরম দু:সংবাদ
- হঠাৎ কেন লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম? জানা গেল আসল কারণ
- বাংলাদেশ বনাম ভুটান ম্যাচ: সময়সূচি ও লাইভ দেখার সব তথ্য
- নতুন নিয়মে চ্যাম্পিয়নস লিগ ড্র: কারা কোন পটে
- আজকের মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট (২৭ আগস্ট)
- হাসনাত-সারজিসকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে আলটিমেটাম কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের
- শারীরিক ক্ষমতা বাড়াতে পারে রসুন: ডাঃ দৃষ্টির বৈজ্ঞানিক পরামর্শ
- ইতালির জন্য ভিসা ভোগান্তির শেষ কোথায়
- বাবরকে নিয়ে কথা বললে বেত দিয়ে পেটানো উচিত’! পাকিস্তান ক্রিকেটে তুমুল ঝড়