খেলা ব্যাপারটা পুরোপুরিই বিনোদন। কোনও নাটক-সিনেমার গল্প যেমন একেকজনের কাছে একেকরকম লাগে। একই গল্প কারও কাছে অনেক ভালো লাগে কারও কাছে ভালোই লাগে না। এটা মানুষে মানুষে নির্ভর করে। তেমনি এক দেশের খেলার ধরণ বা ওই দেশের খেলা ভালো লাগবেই এমন কোনও কথা নেই। কিন্তু, সেই বিষয়টি রীতিমতো ইস্যু হয়ে গেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটে ভারতের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। দুই দলের বাইশগজের লড়াইয়ের বাইরেও সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার আঁচ পাওয়া যায়। ফাইনালে রোহিত-কোহলিদের হারে এদেশে একদল সমর্থক উল্লাস করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যানে যা চোখ এড়ায়নি ভারতীয়দেরও। বিষয়টি মোটেও ভালোভাবে নেননি তারা।

বাংলাদেশিদের উচ্ছ্বাসের জেরেই যে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা পোস্টটির মন্তব্যের ঘরে গেলেই বোঝা যাচ্ছে।

ফেসবুক পোস্টে তারা লিখেছে, 'অনির্দিষ্টকালের জন্য আমাদের হোটেলে বাংলাদেশি পর্যটকদের বুকিং আর নেওয়া হবে না। ধন্যবাদ।' ইংরেজি এবং বাংলা, দু'টি ভাষাতেই এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে পোস্টে ভারতীয় পতাকার ইমোজি রয়েছে। পোস্ট করার পর থেকেই অনেক ভারতীয় বিষয়টির প্রশংসা করছেন।

ঢাকার একটি বিলাসবহুল শপিং-মল যমুনা ফিউচার পার্কে সাড়ে আঠারো হাজার স্কয়ার ফিটের মতো বিশাল জায়গা জুড়ে তৈরি এই ভিসা সেন্টারটি তৈরি করা হয়েছে। যা কিনা বিশ্বের সবচাইতে বড় ভারতীয় ভিসা সেন্টার।

মেডিকেল ট্যুরিজম থেকে ভারতের যে আয় হয় তারও একটি বড় অংশ আসে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া চিকিৎসা প্রত্যাশীদের কাছ থেকে।ভারতের ব্যুরো অফ ইমিগ্রেশন দপ্তরের হিসেব মতে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পর্যটক যায় বাংলাদেশ থেকেই।

চিকিৎসা ক্ষেত্র থেকে বাংলাদেশ থেকে ভারতের আর ৫১০ মিলিয়ন ডলার। ভারতকি বুঝতে পেরেছে ভিসা বন্ধ করলে ক্ষতিটা কার হচ্ছে বেশি। বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে যায় চিকিৎসার জন্য সবাই যার যার নিজের অর্থ ব্যয় করে চিকিৎসায় ব্যয় করে ।তাহলে নিজের অর্থ ব্যয় করে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশেও চিকিৎসার জন্য যাওয়া যাবে ,তাহলে কেন ভারতেই যেতে হবে ক্ষতিটা কার বেশি হচ্ছে? বাংলাদেশীদের যেই চিকিৎসা সেবাটা দিচ্ছে এটা কিন্তু বিনামূল্য দেয় না মানুষ তার নিজের অর্থ ব্যয় করে এতে করে ভারত অর্থনৈতিকভাবে আরো বেশি সমৃদ্ধশীল হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাওয়ার মাধ্যমে।

ঠিক সেরকম টুরিস্ট ভিসায় মানুষ অনেকেই ভারতে যায় । বাংলাদেশে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে যেটা ভারতের চেয়েও বেশি সুন্দর । একে শখের বশে ভারতে যায় ঘুরতে। এই টুরিস্ট ভিসা থেকে ভারতের আয় প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার।