নকআউট এশিয়ার তিন তিনটি দল, সেরা আটের দৌড়ে এগিয়ে যে দলগুলো

জার্মানদের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জয়। পরবর্তীতে বেলজিয়ামের বিপক্ষে মরক্কোর ২-০ ব্যবধানে জয়, পর্তুগিজদের বিপক্ষে কোরিয়ার ২-১ ব্যবধানে জয়, ফ্রান্সের বিপক্ষে তিউনিসিয়ার ১-০ ব্যবধানে জয়, ২০১০ বিশ্বকাপ জয়ী স্পেনের বিপক্ষে জাপানের আরও একটি মহাকাব্য (২-১ ব্যবধানে জয়) এবং সর্বশেষ ক্যামেরুনের বিপক্ষে ব্রাজিলের ১-০ ব্যবধানে আত্মসমর্পণ।
সব মিলিয়ে এবারে বিশ্বকাপটি যেন অঘটনের বিশ্বকাপ। একের পর এক ছোট দল তুলনামূলকভাবে নিজেদের চাইতে অনেক শক্তিশালী দলগুলোকে অনায়াসেই হারিয়ে দিচ্ছে। বিগত কোনো বিশ্বকাপে অঘটনের সংখ্যা এত বেশি ছিল না। মূলত এবারের বিশ্বকাপে ছোট দল বড় দলের খেলায় তেমন কোনো পার্থক্য দেখা যাচ্ছে না। ফলে এখন এশিয়াবাসীরা বুক ফুলে আশা করতেই পারে। নক আউট পর্বে রয়েছে এশিয়ার তিন প্রতিনিধি জাপান,অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া।
প্রায় ১৬ বছর পর নক আউট পর্বে উঠেছে এশিয়ার কোনো দল। তাও আবার তিন দল একসাথে। ওশেনিয়ার অংশ হলেও ফুটবল এশিয়ান কাউন্সিলের অধীনেই খেলে অস্ট্রেলিয়া, ফলে ফুটবলে এশিয়ান দল হিসেবেই অস্ট্রেলিয়াকে দেখা হয়। সেক্ষেত্রে তিন তিনটি এশিয়ান দল বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে উত্তীর্ণ হতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বকাপের ৯০ বছরের ইতিহাসে কখনো দুটি এশিয়ান দল একসাথে নক আউট পর্বে উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
এই বিশ্বকাপে তো তিনটি দল তা করে দেখিয়েছে। এছাড়া এশিয়ান দলগুলোর খেলায়ও এবার দেখা গিয়েছে অন্যরকম এক ছন্দ। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সৌদি আরবের খেলায় দেখা গিয়েছিল আরব বাসীর রুক্ষ ফুটবল। যা সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগই দেয়নি। পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে জাপানের ফুটবলে দেখা যাচ্ছে আদর্শ কাউন্টার এটাক। বল অধিকাংশ সময়ে প্রতিপক্ষের দখলে থাকলেও সঠিক সময় বল দখলে নিয়ে সরাসরি কাউন্টার অ্যাটাক করে জাপানিজরা। এই কাউন্টার অ্যাটাকময়ী ফুটবল খেলেই দুই সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে নাস্তানাবুদ করেছে এশিয়ান দলটি।
অস্ট্রেলিয়াও নিজেদের সমর্থ্যের চাইতে ভালো ফুটবল খেলেছে। রেংকিং এবং শক্তি সামর্থ্যে তাদের চেয়ে এগিয়ে থাকা দুই দল তিউনিশিয়া এবং ডেনমার্কে হারিয়েছে ক্যাঙ্গারুরা। সব মিলিয়ে ভিন্ন ধরনের ফুটবল খেলে বিশ্ববাসীকে ঠিকই চমকে দিতে পেরেছে এশিয়ান দলগুলো। এশিয়া বাসির আশা এখন নিশ্চয়ই আরো বড় হয়েছে। এত দারুণ ফুটবল খেলেও কেন নকআউট পর্ব পর্যন্তই রাখতে হবে নিজেদের পথচলা।
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল সম্ভব হলে সেমিফাইনাল কিংবা এর চেয়েও বড় স্বপ্ন হয়তো দেখতে শুরু করেছে জাপান কোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ান সমর্থকেরা। ২০০২ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে কোরিয়ানদের। তাহলে এবার কেন নয়? আর যে ধরনের ফুটবল খেলছে জাপান তাতে তাদের নিয়ে আসা একটু বেশিই থাকবে। ফুটবলের মহারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক এশিয়ানরা এমনটি রইলো প্রত্যাশা।
- মিশা সওদাগরকে রাস্তায় মারধর, ভাইরাল ভিডিওর আসল রহস্য ফাঁস করলেন জায়েদ খান
- দাম কমলো জ্বালানি তেলের
- ১ বা ৩ কোটিতে নয় আকাশ ছোয়া মুল্যে আইপিএলে দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ৩ ম্যাচে খেলবেন মুস্তাফিজ, প্রতি ম্যাচের জন্য যত টাকা করে দিবে দিল্লি ক্যাপিটালস
- মুস্তাফিজের পর দল পেলো সাকিব
- সুখবর প্রবাসীদের জন্য : নতুন ভিসা চালু করল আমিরাত
- বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ আটকে রাখলেন সৌদি মালিক
- এবার হঠাৎ কেন লাফিয়ে লাফিয়ে কমছে স্বর্ণের দাম, যা জানা গেল
- বড় সুখবর! হঠাৎ কমে গেল পেঁয়াজ-আলুর দাম, বাজারে ফিরছে স্বস্তি
- ১০ বলে ২৭ রান , ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের নাটক
- প্রবাসীদের জন্য দারুন সুখবর ঘোষণা
- সাম্যকে নিয়ে যে স্ট্যাটাস দিলেন উপদেষ্টা আসিফ
- আরব আমিরাত থেকে সরাসরি আইপিএলে মুস্তাফিজের খেলতে যাওয়া নিয়ে যা বলছে বিসিবি
- ডেসটিনির বিনিয়োগকারীরা কীভাবে টাকা ফেরত পাবেন, জানালেন রফিকুল আমীন
- ৩ অঞ্চলে দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস