৩১৬ ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করে বাংলাদেশকে ১টি রেকর্ড উপহার দিলো সাইফুদ্দিন
ওমানের আল আমেরাত স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার নাঈম শেখকে হারিয়ে ফেলে টাইগাররা।
প্রথম বলেই নাঈমের বল চলে গিয়েছিল উইকেটরক্ষকের কাছে। যদিও সেই বলে বেঁচে যান বাঁহাতি ওপেনার। তবে পরের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলে স্কোর বোর্ডে কোনো রান তোলার আগেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর বিপর্যয় প্রতিরোধের দায়িত্ব নেন আরেক ওপেনার লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে গড়েন ৫০ রানের পার্টনারশিপ। পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশ পায় ৪৫ রান। ২৩ বলে ২৯ রান করে লিটন বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। লিটন এদিন হাঁকান একটি করে চার-ছক্কা।
আগের ম্যাচে আট নম্বরে নামা মুশফিকুর রহিম এই ম্যাচে নেমেছিলেন চার নম্বরে। তবে যথারীতি ব্যর্থ ছিলেন। ৮ বলে ৫ রান করে তিনি বিদায় নিলে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক রিয়াদ। রিয়াদকে ক্রিজে রেখে সাজঘরে ফেরেন দারুণ খেলতে থাকা সাকিব।
মাত্র ৪ রানের জন্য সাকিব পাননি অর্ধশতকের দেখা। ৩৭ বলের মোকাবেলায় ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৪৬ রান করেন এই অলরাউন্ডার। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসে রান বাড়ানোর দায়িত্ব নেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তবে রিয়াদ যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন আফিফকে ততক্ষণ খুব বেশি ঘাম ঝরাতে হয়নি। পাপুয়া নিউগিনির বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ২৮ বলের মোকাবেলায় ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ অর্ধশতক পূর্ণ করেন রিয়াদ, হাঁকান ৩টি করে চার-ছক্কা।
এর আগে অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন মাত্র একজন (ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০৭ বিশ্বকাপে মোহাম্মদ আশরাফুলের ৬১)। আশরাফুলের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েই অবশ্য সাজঘরে ফিরতে হয় ২৭ বলে অর্ধশতক হাঁকানো রিয়াদকে। শেষদিকে সাজঘরে ফেরা আফিফ ১৪ বলে ২১ রান করেন, তিনটি চারের সহায়তায়। কিন্তু ৮ নাম্বার পজিশনে ব্যাটিং করতে নেমে এই দিন তান্ডব দেখান সাইফুদ্দিন।
তিনি মাত্র ৬ বলে ৩১৬ স্ট্রাইক রেটে ১৯ রান করেন। হাকান ২টি লম্বা ছক্কা ও ১ চার। তার মারা শেষ চারে মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ টি২০ বিশ্বকাপে তাদের নিজেদের সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড গড়ে। এর আগে ২০১৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপে ওমানে বিপক্ষে ১৮০ রান করে বাংলাদেশ।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮১ রান। পাপুয়া নিউগিনির পক্ষে কাবুয়া মরেয়া, ডেমিয়েন রাভু ও অধিনায়ক আসাদ ভালা দুটি করে উইকেট শিকার করেন।