টুর্নামেন্টের দশম ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে ললিতপুর। এদিন ভাইরাহাওয়ার বোলারদের একাই তুলোধুনো করতে থাকেন ললিতপুরের ওপেনার সানদুন উইরাকডি। ৪১ বল মোকাবেলায় ২ চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে এই ব্যাটসম্যান খেলেন ৫৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।

সন্দীপ জরার ২৫ বলে ৩৮ রানের পর শেষের দিকে ব্যাট হাতে আবারও ঝড় তোলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। মাত্র ২২ বল মোকাবেলায় ২টি চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে ওমরজাই খেলেন ৪২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ললিতপুর এদিন ১৭৭ রানের বড় পুঁজি পায় তামিমদের বিপক্ষে।

বড় লক্ষ্য টপকাতে গিয়ে অবশ্য শুরুটা ভালো করতে পারেনি ভাইরাহাওয়া গ্ল্যাডিয়েটর্স। প্রদিপ আইরির সাথে মিলে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামা তামিম ইকবাল উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ২০ রান যোগ করলে তামিমের সঙ্গী প্রদিপ ৮ বল মোকাবেলায় মাত্র ২ রান করেই সাজঘরের পথ ধরেন।

ওপেনিং পার্টনারকে হারিয়ে অবশ্য আগ্রাসী শুরু করার তামিম খেলেন কিছুটা ধীর গতির ইনিংস। দলীয় রান ২৮ পর্যন্ত নিয়ে রিজান ঢাকালের বলে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তামিম।

১৬ বল মোকাবেলায় ৩ চারের সাহায্যে তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে এদিন এসেছে ১৪ রান।

তামিমের বিদায়ের পর উপুল থারাঙ্গা ও আরিফ শেখ মিলে আবারও চড়াও হন ললিতপুরের বোলারদের উপর। ২৮ বলে ২৮ রান করে আরিফ সাজঘরে ফিরে গেলেও ব্যাট হাতে তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন থারাঙ্গা। কুশল মালার ১৯ বলে ৩৫ রানের রানের ক্যামিও ইনিংসের পর শেষ ওভারে তামিমদের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ১৮ রান।

যেখানে থারাঙ্গা প্রথম দুই বলে ২ রান করে নেয়ার সাথে হাঁকান দুটি ছক্কা। সর্বমোট ১৭ রান আসে শেষ ওভারে। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ভাইরাহাওয়ার স্কোর ১৭৭ রান হলে ম্যাচ ড্র হয়। থারাঙ্গা ৪৪ বলে অপরাজিত ছিলেন ৬৭ রানে।