স্লগ ওভারে মুস্তাফিজেই আস্থা ছিল স্যামসনের
১৮৫ রানের বড় পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে নামা রাজস্থান প্রথম ওভারেই বল তুলে দিয়েছিল মুস্তাফিজের হাতে। ষষ্ঠ ওভারে আরেক ওভার বল করার পর মুস্তাফিজকে রেখে দেওয়া হয় স্লগ ওভারের জন্য। কিন্তু ১৭তম ওভারে মুস্তাফিজ আবারও আক্রমণে আসার আগে ম্যাচ অনেকটাই হাতের মুঠোয় নিয়ে ফেলে পাঞ্জাব। মুস্তাফিজ নিজের তৃতীয় ওভারে ১৪ রান দিলে জয়ের আরও কাছে চলে যান লোকেশ রাহুলরা।
তবে এরপর মুস্তাফিজ ও তিয়াগি যা করেছেন, তা রীতিমত অবিশ্বাস্য। পাঞ্জাবের হাতের মুঠোয় থাকা জয় ছিনিয়ে আনেন স্লগ ওভারের স্নায়ুক্ষয়ী পারফরম্যান্সে। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য পাঞ্জাবের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৮ রান। মুস্তাফিজ ১৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান খরচ করেন। মুস্তাফিজের বদৌলতে শেষ ওভারে ম্যাচ গড়ালে অগ্নিঝরা বোলিং প্রদর্শন করেন ত্যাগী, এনে দেন ২ রানের জয়।
ম্যাচ শেষে রাজস্থানের অধিনায়ক স্যাঞ্জু স্যামসন জানালেন, মুস্তাফিজকে তিনি স্লগ ওভারের জন্যই রেখেছিলেন। একইসাথে আস্থা ছিল তিয়াগির ওপরও। স্যামসন বলেন, ‘আমরা জয়ের আশা রাখছিলাম, এটা একটু হাস্যকরই বটে। মুস্তাফিজ ও তিয়াগির বোলিং স্লগ ওভারের জন্য রেখে দিয়েছিলাম। ক্রিকেট মজার এক খেলা। আমরা লড়াই চালিয়ে গিয়েছি এবং বিশ্বাস রেখেছি।’
বোলারদের ওপর এই আস্থা নতুন নয়। আসরের শুরু থেকেই মুস্তাফিজরা স্লগ ওভারে নৈপুণ্য দেখাচ্ছেন। আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বেও তাই স্যামসনের স্বস্তি বোলিং নিয়ে। তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় আমার বোলারদের ওপর আস্থা রাখি, লড়াই করে যেতে চাই এবং এ কারণেই শেষদিকে তাদের দুই ওভার বাকি রেখেছিলাম। এই স্কোর নিয়ে এই উইকেটে আমরা ভালো বোধ করছিলাম কারণ আমাদের সেই মানের বোলিং ইউনিট আছে। ক্যাচগুলো ধরতে পারলে আরও আগেই জিততে পারতাম।’