চেন্নাই বনাম মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচের ফলাফল
মুম্বাইকে জেতার জন্য শেষ ওভারে ২৪ রান করতে হয়েছিল। ব্যাটসম্যান ছিলেন সৌরভ তিওয়ারি এবং অ্যাডাম মিলনে। ডোয়াইন ব্রাভোর ওভারে মাত্র ৩ রান নিতে পারেন তিনি। চূড়ান্ত লড়াইয়ের পরও কাইরন পোলার্ডের দল সবাইকে নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল।
আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই চেন্নাইয়ের যোদ্ধাদের সংগ্রহের জবাবে ভাল শুরু করতে পারেনি। ওপেনার কুইন্টন ডি ককের উইকেট তারা ১৮ রানে হারায়। প্রোটিয়াস উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ১২ বলে ১৭ রান করেন এবং দীপক চাহারের বলে এলবিডব্লিউ হন। আনমলপ্রীত সিং চাহার ১৬ রানে বোল্ড হন।
এরপর সূর্য কুমার যাদব অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিতে পারেননি। তিনি ৩ রানে আউট হন। ইশান্ত কিষানও মাত্র ১১ রান করে ফিরে আসেন। অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি। সৌরভ তিওয়ারি শুধু আশা নিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন।
বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৪০ বলে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। শেষ পর্যন্ত মিলনে অপরাজিত ছিলেন ১৫, রাহুল চাহার ০ এবং জাসপ্রিত বুমরাহ ১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংস টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। দলের ২৪ রানে সেরা চার ব্যাটসম্যানকে হারান চেন্নায়। ফাফ ডু প্লেসিস, মঈন আলী এবং আম্বাতি রায়ুডু এই ম্যাচে স্কোর করতে পারেননি। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না ফিরলেন মাত্র ৪ রান নিয়ে।
অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ৩ রানে আউট হন। এমন অবস্থায় ওপেনার রুতুরাজ ব্যাট হাতে চেন্নাইকে একাই টেনে নিয়ে গেছেন। তিনি ৫৮ বলে ৮৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা তাকে দারুণ সমর্থন দেন।
তিনি ৩৩ বলে ২৬ রান করে আউট হন। এবং ডোয়াইন ব্রাভো ৮ বলে ২৩ রানের একটি ইনিংস খেলেন। ফলস্বরূপ, চেন্নাই পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ১৫৬ রানের বিশাল পুঁজি পেয়েছিল। মুম্বাইয়ের হয়ে ট্রেন্ট বোল্ট, অ্যাডাম মিলনে এবং জাসপ্রিত বুমরাহ দুটি করে উইকেট নেন।
দুই দলের সংক্ষিপ্ত স্কোর-
চেন্নাই সুপার কিংস- ১৫৬/৬ (২০ ওভার) (গায়কোয়াড় ৮৮*, জাদেজা ২৬, ব্রাভো ২৩; মিলনে ২/২১, বুমরাহ ২/৩)
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স-১৩৬/৮ (২০ ওভার) (সৌরভ ৫০*, ডি কক ১৭, পোলার্ড ১৫; ব্রাভো ৩/২৫, চাহার ২/১৯)