সিনিয়র ক্রিকেটারদের সাথে কোচের দূরত্ব
বাংলাদেশের সাম্প্রতি সাফল্যে এই পাঁচ জনের অবদান অপরিসীম।তবে হঠাৎ করেই বাংলাদেশ দলের সিনিয়রদের সঙ্গে বোর্ড ও টিম ম্যানেজমেন্টের দূরত্ব বাড়ছে। মন কষাকষি চলছে হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে সিনিয়রদের। প্রকাশ্যে কেউ না বললেও,সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও নানা বক্তব্য দিচ্ছে তেমনই ইঙ্গিত।
এমন ঘটনায় তাই একটা প্রশ্ন সামনে আসছে।গেল এক যুগেরও বেশি সময় যারা দেশের ক্রিকেটের ভার বয়ে বেড়িয়েছেন তারা কি পাচ্ছেন প্রাপ্য সম্মানটুকু?অভিমান থেকে টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা মাহমুদউল্লাহর। হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর উদ্ভট দুই উইকেটকিপার তত্ত্ব। আর সবশেষ,তামিমের বিশ্বকাপ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার।কোনো কিছুই দিচ্ছে না ভালো কিছুর ইঙ্গিত।বিশ্বকাপের মতো বড় ইভেন্টের আগে দল ঐক্যবদ্ধ আছে কিনা এটাই এখন প্রশ্ন।
এ প্রসঙ্গে ক্রিকেট বিশ্লেষক এম এম কায়সার বলেন, ’চাপিয়ে দেওয়া কোন সিদ্ধান্ত কখনো ভালো ফল নিয়ে আসতে পারে না। পুরো দলের মধ্যে সিনিয়র ক্রিকেটারদেরকে নিয়ে কোচের যে দূরত্ব তা দলের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশ্বকাপের আগে দলের মধ্যে একটা সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা সবাই আশা করে। তবে এটি দেখা যাচ্ছে না।’
এম এম কায়সার আরও বলেন, ’বাংলাদেশ দল এখন যে অবস্থায় আছে তাতে করে মাঠের পারফরমেন্স ভালো করতে হবে। বিশ্বকাপের মাঠে যদি ভালো করতে পারে তাহলে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে আশা করা যায়।’সামনে শুধু বিশ্বকাপ বলেই না,বরাবরই যেন ড্রেসিং রুমে সুস্থ পরিস্থিতি বজায় থাকে সেই উদ্যোগ নিতে এগিয়ে আসতে হবে বোর্ডকেই।
কোচের সাথে পাঁচ সিনিয়রের দূরত্ব নিয়ে সিনিয়র সংবাদিক এ টি এম সাইদুজ্জামান বলেন,’যে পাঁচজন সিনিয়র ক্রিকেটার আছেন তাদের সঙ্গে বোর্ডের যোগাযোগ অনেক সহজ। তবে ক্রিকেটারদের যে আন্দোলন হয়েছিল সেটা নিয়ে কোন কারণ থাকতেও পারে। তবে বিদেশি কোচরা এসে সিনিয়রদের হটাও তত্ত্ব নিয়ে কাজ করতে চায়। তারা তরুণদের নিয়ে বেশি ভাবতে চায়। তবে দলের সবাই পারফরমেন্সে সমান না। সবাইকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’