| ঢাকা, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

হারিয়ে যাওয়া এক নক্ষত্র-এনামুল হক বিজয়

খেলাধুলা ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০২১ আগস্ট ২৪ ১১:৫৭:২৪
হারিয়ে যাওয়া এক নক্ষত্র-এনামুল হক বিজয়

২০১২ সালের শেষ দিকে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ওয়ানডে অভিষেক। রান, সেঞ্চুরি সবকিছু মিলিয়ে বিজয় ক্যারিয়ারের শুরুতেই সকলের প্রশংসায় ভাসতে থাকেন। নিয়মিত রান হয়ত পাচ্ছিলেন না, তবে মাঝেমধ্যে বড় ইনিংস খেলছিলেন। সবকিছু ভালোই চলছিল। তবে ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় হাতে মারাত্মক আঘাত পান বিজয়। পরে আর সেই বিশ্বকাপেই খেলতে পারেননি।

এরপরই যেন বিজয়ের হারিয়ে যাওয়ার শুরু। এরপরে আর জাতীয় দলে ভালোভাবে সুযোগই পাননি বিজয়, নিজের পারফরম্যান্সও ঠেকে তলানিতে। তবে একেবারে যে সুযোগ পাননি এমনটাও নয়, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কিছু ম্যাচে খেলানো হলেও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি, হয়েছেন মোটাদাগে ব্যর্থ। ঘরোয়া ক্রিকেটে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স একেবারেই যাচ্ছেতাই, কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছে না। দলে তাই সুযোগও পাচ্ছেন না বিজয়।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিনি খেলেছেন মূলত সীমিত ওভারের ক্রিকেটই। টেস্টে ৪ ম্যাচ খেলে ৯ গড়ে রান করেছেন মোটে ৭৩। একজনের ওপেনারের জন্য যা শুধু বাজেই নয়, ভয়াবহ রকমের বাজে পরিসংখ্যান। সেজন্য টেস্টে সুযোগও পাননি খুব বেশি। ওয়ানডেতে ১০৫২ রান করেছেন ৩০ গড়ে, স্ট্রাইকরেট ৭১। টি-টোয়েন্টিতে ৩২ গড়ে রান করলেও স্ট্রাইকরেট ১১৮, টি-টোয়েন্টির হিসাবে একদমই যুতসই না।

বিজয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে ডট বল খেলা আর স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারা। রান যা করার তার বেশিরভাগই চার-ছয় মেরে বাউন্ডারি থেকেই তোলেন। সিঙ্গেল বের করতে পারেন না, খেলে ফেলেন অনেক বেশি ডট বল। যার কারণে স্ট্রাইকরেটের এই করুণ দশা।

গত কয়েক বছরে ঘরোয়া ক্রিকেটেও ছিলেন অধারাবাহিক। মাঝেমধ্যে দুই-এক ম্যাচে রান করলেও পরের বহু ম্যাচে রান করতে পারছেন না। বিপিএল, জাতীয় লিগ, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, বঙ্গবন্ধু টি-২০, বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপসহ প্রায় সকল টুর্নামেন্টে সুযোগ পাওয়ার পরেও ব্যর্থতার গল্পটা ঘুরেফিরে একইরকম। অনেক বেশি ডট বল খেলা, স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারা, স্ট্রাইকরেটের বিচ্ছিরি দশা আর দলের চাহিদা মিটিয়ে রান করতে না পারার ব্যর্থতা লেগেই আছে।

যেই এনামুল বিজয়কে ভাবা হচ্ছিল দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ আজ সেই বিজয় জাতীয় দলের আশেপাশেও নেই। কোনোদিন আবার জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন কিনা সেটা নিয়েও আছে সন্দেহ। অথচ একই সাথে অ-১৯ বিশ্বকাপ খেলা মোসাদ্দেক, তাসকিন, সোহান, লিটন, সৌম্য, রাহিরা অন্তত জাতীয় দলের বিবেচনায় আছেন। আর সেই দলের অধিনায়ক বিজয় হারিয়ে গেছেন সময়ের সাথে। বড় তারকা হতে গিয়ে মাঝপথে ছিটকে যাওয়া এনামুল হক বিজয় হয়ত দেশের ক্রিকেটে আক্ষেপের একটা নাম হয়েই থাকবেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

ক্রিকেট

শেষ ওয়ানডে ম্যাচের আগে যা বললেন পারভেজ, স্বীকার করলেন ‘গিল্টি’ হওয়ার কথা

শেষ ওয়ানডে ম্যাচের আগে যা বললেন পারভেজ, স্বীকার করলেন ‘গিল্টি’ হওয়ার কথা

নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬৯ বলে ঝড়ো ৬৭ রান করে দলের জয়ে ...

আইসিসির নতুন নিয়মে মোস্তাফিজ সুপারস্টার, অথচ সমাধান খুঁজছেন সাকিব-তাসকিনরা

আইসিসির নতুন নিয়মে মোস্তাফিজ সুপারস্টার, অথচ সমাধান খুঁজছেন সাকিব-তাসকিনরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ওয়ানডে ক্রিকেটে বল ব্যবস্থাপনার নতুন নিয়ম যেন আশীর্বাদ হয়ে এসেছে কাটার মাস্টার ...

ফুটবল

ছাতা দিয়ে বাঁধা হল ব্যান্ডেজ, বাংলার ফুটবলের বেহাল দশা

ছাতা দিয়ে বাঁধা হল ব্যান্ডেজ, বাংলার ফুটবলের বেহাল দশা

নিজস্ব প্রতিবেদক : কলকাতা লিগ, যার ঐতিহ্য বহু পুরনো, এক সময় যেখান থেকে উঠে এসেছে ...

রেকর্ড ও গোল বন্যায় শেষ হলো বাংলাদেশের ফুটবল ম্যাচ,জেনেনিন ফলাফল

রেকর্ড ও গোল বন্যায় শেষ হলো বাংলাদেশের ফুটবল ম্যাচ,জেনেনিন ফলাফল

নিজস্ব প্রতিবেদক:নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে প্রথমার্ধেই যা দেখিয়েছে বাংলাদেশ, সেটাই যথেষ্ট ছিল তুর্কমেনিস্তানকে ...



রে