বেবিচকের এমন নির্দেশনায় দেশটিতে থাকা অ’বৈধ প্রবাসী যারা দেশে ফিরতে চাচ্ছেন তারা অনেকটাই দিশেহা’রা হয়ে পড়েছেন। কারণ, মালয়েশিয়াতে রিক্যা’লিব্রেশন কর্মসূচির মাধ্যমে দেশটিতে থাকা অ’বৈধদের দেশের যাওয়ার যে সুযোগ দিয়েছে তা ব্যহত হওয়ার আশ’ঙ্কায় রয়েছেন তারা। এছাড়া মালয়েশিয়ার জে’লখা’নায় সাজা শেষে দেশে ফিরবেন এমন ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনরাও টেনশনে রয়েছেন।

এদিকে বেবিচকের জারি করা নোটিশের বিষয়ে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত না জানালেও মিশনে বিষয়টি নিয়ে ১৭ আগস্ট কর্মকর্তারা বৈঠ’ক করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে মালয়েশিয়া থেকে রিক্যালিব্রেশন প্রক্রিয়ায় অবৈধ বাংলাদেশি, যারা দেশে ফিরতে প্রক্রিয়া শেষ করেছেন তাদের ফিরে যেতে বাংলাদেশ দূতাবাস আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরা।

এদিকে বেবিচকের নির্দেশনায় বলা হয়, ক’রো’না’র ভ্যা’কসিন (সর্ম্পূণ ডো’জ) না নিলে ১১টি দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করা যাবে না। এমন ১১টি দেশের তালিকায় রয়েছে, মালয়েশিয়া, আর্জেন্টিনা, বতসোয়ানা, কিউবা, সাইপ্রাস, সোয়াজিল্যান্ড, জর্জিয়া, ইরান, লিবিয়া, মঙ্গোলিয়া, স্পেন। এ’ক্ষে’ত্রে ১১টি দেশ থেকে যারা ক’রো’নার ভ্যা’কসি’ন (সম্পূর্ণ ডো’জ) নিয়ে ১৪ দিন পার করেছেন, বা সম্পূর্ণ ডো’জ টি’কা নেয়ার ১৪ দিন পর বাংলাদেশে আসতে পারবেন। তবে তাদের অবশ্যই ১৪ দিনের হোম কো’য়ারে’ন্টাইনে থাকতে হবে।

এসব দেশে আট’কেপড়া বাংলাদেশের নাগরিকরা দূতাবাসের মাধ্যমে বিশেষ অনুমতি নিয়েও দেশে ফিরতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়া’রেন্টাইনে থাকতে হবে। তবে বাংলাদেশ থেকে অন্যান্য’ দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষে’ধ আরোপ করেনি বেবিচক। সেক্ষেত্রে ভ্যা’কসি’ন নেওয়া থাকলেও পিসিআর পদ্ধ’তিতে করোনা নে’গেটি’ভ রিপোর্ট আসলে বাংলাদেশে থেকে বহির্গমন বা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে এবং ১০ বছরের নিচের বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ক’রো’না পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই। ফ্লাইটের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক’রো’না পরী’ক্ষা করতে হবে।