বাংলাদেশের কাছে অস্ট্রেলিয়ার মামা বাড়ির আবদারগুলো দেখেনিন
অজিদের দলের অনেক নতুন মুখ থাকলেও, প্রতিপক্ষকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখছেন না দুর্জয়। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ – অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাবনা দেখছেন সমানে সমান।
প্রায় দুই সপ্তাহর জন্য পাঁচ তারা এক হোটেল ছেড়ে দিতে হবে। ইমিগ্রেশনে ঝামেলা না গিয়ে সরাসরি টিম হোটেলে উঠতে চায়। করোনা মহামরারির মধ্যে দেশে যখন আইসিইউ সংকটে তখন অতিথিদের চাহিদা অনুযায়ী আইসিইউ’এর ব্যবস্থা রাখতে হবে। এমনকি স্বাগতিক দলের বায়ো বাবলও করতে হয়েছে তাদের চাহিদা অনুযায়ী।
এছাড়াও আছে আরও কত কি আবদার। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ খেলার আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার শর্তের পর শর্ত মাথা পেতে মেনে নিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। অতিথি দলের চাহিদাগুলো ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকেরই গায়ে জ্বালা ধরিয়েছে। তবে, এই বোর্ড পরিচালক ব্যাপারটিকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছে।
নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, করোনাকালে অস্ট্রেলিয়ার চাহিদাগুলো অস্বাভাবিক নয়। কারণ আমি একবার অস্ট্রেলিয়ার একাডেমিতে গিয়েছিলেম। তারা ব্যাট প্যাড থেকে শুরু করে কেডসের তলায় নজর রাখে কোথাও মাটি লেপে আছে কি না। আসলে তারা জাতিগতভাবেই এমন।
২০০৫ সালের কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার দাম্ভিকতা চূর্ণ করে ওয়ানডেতে ঐতিহাসিক জয় পায় বাংলাদেশ। হোম অব ক্রিকেটে চার বছর আগে টেস্টে তছনছ হয় অজিদের সাদা পোশাকের সাম্রাজ্য। কিন্তু, টি-টোয়েন্টির সংস্করণে এখনও টাইগারদের জয় অধরাই আছে। এবার শুধু জয়ই নয়। স্বপ্নের পরিধিটা আরও অনেক অনেক বড়। কিন্তু, সাবেক এ অধিনায়ক বলছেন, খেলা হবে সেয়ানে সেয়ানে।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অনেক নতুন মুখ থাকলেও, তারা জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে। কারণ তারাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই দু’দলের লড়াইটা সহজ হবে না। তবে, বাংলাদেশের বেশিভাগ সিনিয়র ক্রিকেটার আর হোম গ্রাউন্ডের সুবিধা নিতে পারলে একটা সম্ভাবনা থাকবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্ম ২০০৫ সালে। গেল ১৬ বছরে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে মোটে ৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ।