এমনই কিছু নিয়মের কথা বলতে গেলে আসবে অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড ও হ্যান্ডেল্ড দ্য বল। ক্রিকেটীয় আলোচনায় এমন আউটকে কেউ হয়ত স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে চাইবেন না। মজার ব্যাপার হল, অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড ও হ্যান্ডেল্ড দ্য বলের নজির আছে বাংলাদেশের ক্রিকেটেও।বাংলাদেশে অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড তথা উইকেটের মাঝে দৌড়ানোর সময় বলের গতিপথ বাধাপ্রাপ্ত করার ঘটনা ঘটেছে দুটি। কাকতালীয়ভাবে দুটিই চলমান

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। তাও মাত্র ৪ দিনের ব্যবধানে!গত ১৭ জুন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের মুখোমুখি হয়েছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। প্রথম পর্বের হাই ভোল্টেজ সেই ম্যাচে মোহামেডানের ইনিংসের শেষ বলে অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ইয়ানিন আরাফাত। সোমবার (২১ জুন) মিলল দ্বিতীয় নজিরের খোঁজ। প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ডের শিকার হন।হাত দিয়ে বলের গতিপথ আটকে দেওয়া বা হ্যান্ডেল্ড দ্য বলের ঘটনা বাংলাদেশের ক্রিকেটে আছে একটি। ২০০২ সালে জ্যামাইকার বিপক্ষে বুস্তা কাপের

ম্যাচে এই কাণ্ড ঘটান তুষার ইমরান। চারদিনের সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ‘এ’ হেরেছিল তিন দিনেই।এ তো গেল অস্বাভাবিক আউটের কথা। আউট না হয়েও সাজঘরে ফেরা যায় জোরপূর্বক অবসর নিয়ে। টেস্ট বা ওয়ানডেতে কিংবা প্রস্তুতি ম্যাচে রিটায়ার্ড হার্ট হতে দেখা যায় প্রায়শই। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে? একটু বিস্ময় জাগানিয়াই বটে।বাংলাদেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে রিটায়ার্ড হার্টেরও নজির আছে। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিপিএলে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের সানজামুল ইসলাম কোনো বল না খেলেই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন।অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড

ইয়াসিন আরাফাত; প্রতিপক্ষ গাজী গ্রুপ, ১৭ জুন ২০২১

নুরুল হাসান সোহান; প্রতিপক্ষ প্রাইম দোলেশ্বর, ২১ জুন ২০২১হ্যান্ডেল্ড দ্য বল

তুষার ইমরান, প্রতিপক্ষ জ্যামাইকা, ২০০২রিটায়ার্ড আউট

সানজামুল ইসলাম, প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯