বিপিএলের সেই ইনজুরি স্মিথকে এখনও ভোগাচ্ছে। বেরসিক এই চোট আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজ থেকেও ছিটকে দিতে পারে অস্ট্রেলিয়ার এই তারকাকে।

২০১৯ সালের বিপিএলে বিশেষ চুক্তিতে কুমিল্লার হয়ে খেলা স্মিথের জন্য সেবারের বাংলাদেশ সফর মোটেই সুখকর ছিল না। খেলতে পেরেছিলেন মাত্র দু’টি ম্যাচে। ম্যাচ দু’টিতে যথাক্রমে ১৬ ও ০ রান করেন। পরে কনুইয়ের চোটের কারণে দেশে ফিরে যান এই অজি তারকা। দ্রুত চোট কাটিয়ে না ওঠায় বিপিএলের সেই আসরে আর ফেরা হয়নি স্মিথের।

বিপিএল থেকে পাওয়া সেই চোটের কারণে স্মিথের বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল তখন। যদিও পরে তিনি ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছিলেন। তবে দুই বছর পর এসে দফায় দফায় স্মিথের সেই পুরনো ইনজুরি জেগে উঠেছে।

চলতি বছরের শুরুতে প্রথম দফায় স্মিথের পুরনো সেই চোট জেগে উঠে। পরে তিনি আবার সেরেও উঠেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরেন। এরপর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএলে) দিল্লী ক্যাপিটালসের হয়ে ছয়টি ম্যাচও খেলেছেন এই অজি তারকা।

এবার দ্বিতীয় দফায় স্মিথের সেই ইনজুরি আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। আর এই চোটের মাত্রা এতটাই গুরুতর স্মিথের আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজ সিরিজ খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে ক্রিকেট অষ্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নিবার্চক ট্রেভর হন্স স্মিথের ইনজুরির ব্যাপারে তেমন কিছু না জানাতে পারলেও বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজের আগে তাকে ফিট দেখতে চান।

ট্রেভর হন্স বলেন, “আমি ঠিক বলতে পারব না এটা (স্মিথের ইনজুরি) কতটা গুরুতর। কিন্তু এটা তার সঙ্গে আগে থেকেই ছিল এবং আইপিএলে আবারও জেগে উঠেছে।”

“এটা ঠিক হতে কত সময় লাগবে সেটা আমি আপনাদের এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। তবে আমাদের দিক থেকে এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং অবশ্যই অ্যাশেজে আমরা তাকে ফিট হিসেবে চাই।”- যোগ করেন অস্ট্রেলিয়ান প্রধান নির্বাচক।