মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার হাইভোল্টেজ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর মুখোমুখি হয়েছিল মোহামেডান। ম্যাচটিতে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পছন্দ না হওয়ায় প্রথমে স্ট্যাম্পে লাথি মারেন সাকিব। পরে আম্পায়ার খেলা বন্ধের ঘোষণা দিলে রেগে গিয়ে তিনটি স্ট্যাম্পই মাটিতে আছড়ে ফেলেন তিনি।

সবশেষ আবাহনী ডাগআউটের সামনে খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতেও দেখা যায় তাকে। এতসব কাণ্ডের পরই বোঝা গিয়েছিল বড় ধরণের শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন সাকিব। অবশেষে সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে।

সাকিবকে শাস্তি হিসেবে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে এর আগে সাকিবের স্ট্যাম্প ভাঙা ও ছুঁড়ে ফেলার ছবি, ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। প্রতিটি টুইট, রি-টুইট, শেয়ার আর পোস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করেন বিসিবি সভাপতি।

শনিবার সাকিবকাণ্ড নিয়ে এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে পাপন বলেন, বিষয়টা আন্তর্জাতিকভাবে এত বেশি ছড়িয়ে পড়েছে যে আমাকে অনেক দেশ থেকে ফোন করছে। আমি তো ভয়ে ফোন ধরছি না।

তিনি আরো বলেন, দেশের ক্রিকেট বেইজ্জতির চরমে চলে গেছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা এ সমস্যার সমাধান না বের করছি, আমার মনে হয় এই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার কোনো মানে হয় না। এটা চরম জায়গায় নিয়ে গেছে।