সাকিব ইস্যুতে গভীর তদন্তে যাচ্ছে বিসিবি

এছাড়া দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে মুঠোফোনে নাজমুল হাসান জানান, দেশের বাইরে থেকে সাকিবের ঘটনায় প্রচুর ফোন পাচ্ছেন। ভয়ে সেসব এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি।
নাজমুল হাসান বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে এ ঘটনা এতো দেশে ছড়িয়ে গেছে…আমাকে এতো দেশ থেকে ফোন করছে যে, আমি ভয়ে ফোন ধরছি না। বেইজ্জতি চরমে পৌঁছে গেছে। এগুলোর সবাধান না হলে ঘরোয়া লিগ খেলার কারণ দেখি না। লজ্জার চরম জায়গায় নিয়ে গেছে। সব শেষ করে দিয়েছে। আগেও হয়েছে কিন্তু এবার একদম চরম, বেইজ্জতি। বাংলাদেশের বাইরের কেউ তো এসব সমর্থন করছে না। যা সমর্থন সব আমাদের দেশেই।’
আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিজেদের পক্ষে না আসায় মোহামেডানের অধিনায়ক সাকিব প্রথমে স্টাম্পে লাথি দিয়ে আম্পায়ারের দিকে তেড়ে যান। পরবর্তীতে আম্পায়ার বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ করতে চাইলে স্ট্যাম্প তুলে আছাড় দেন। দু’বারই মাঠের আম্পায়ারদের সঙ্গে বাজে আচরণ করেন সাকিব।
গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা মুনি নানা মত দিচ্ছেন। কেউ বলছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের পক্ষপাততুষ্ট আম্পায়ারিংয়ের প্রতিবাদ করতেই সাকিব এরকম করেছেন। সাকিবের স্ত্রীও একই দাবি তুলেছেন। এসব কানে গেছে নাজমুল হাসানেরও। এজন্য সাকিবের ঘটনার গভীর তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন তিনি। ১৫ জুন বোর্ড সভার আগে এ প্রতিবেদন চান তিনি।
পাশাপাশি নিজের ক্ষোভও ঝাড়েন বোর্ড প্রধান, ‘আমার প্রথম কথা হলো যদি কারো ভাবনায় এরকম চিন্তা থাকে যে ঘরোয়া ক্রিকেটে এরকম হয় তাহলে খেলার দরকার কি? যতক্ষণ পর্যন্ত মীমংসা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত খেলার তো দরকার নেই। মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যা বলছে, এসব খেলায় আগে সব সেটিং থাকে, এই করা হচ্ছে…ওই করা হবে…তাহলে তো এই খেলার কোনো মানে হয় না। আগে সমস্যার সমাধান করো, তারপর মাঠে নামো। কেন আমরা খেলাবো? তাও আবার কোভিডের মধ্যে? যেখানে ১ কোটি টাকারও বেশি বাড়তি খরচ করছে বোর্ড শুধুমাত্র মহামারীর কারণে। এতো কিছু করে এতো কথা শোনার তো দরকার নেই।’
তিনি দাবি করেন, এখন পর্যন্ত যতগুলি ম্যাচ হয়েছে সেসব নিয়ে কোনো ক্লাব অভিযোগ করেনি। গতকাল মোহামেডান নিজেদের রিপোর্টে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি। তাহলে কেন মাঠে এমন ঘটনা ঘটলো?
নাজমুল হাসান বলেন, ‘অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা ম্যাচের রিপোর্টে থাকে। সেখানে কিছু নেই। ওরা (সিসিডিএম) বলছে, কোনো ক্লাবের কোনো সমস্যা নেই। আম্পায়ারিং নিয়ে এর আগে অভিযোগ ছিল। ক্যামেরা লাগানোর পর তো এসব অভিযোগ বন্ধ হয়েছে। এরপর একবারও শুনিনি। কেন তাহলে এরকম এবার বলা হচ্ছে একটা ঘটনার পরই? আবার যেহেতু আম্পায়ারিং নিয়ে কথা উঠেছে আমি জানতে চাই ক্লাবগুলো থেকেই তাদের কোনো অভিযোগ আছে কি না।’
আম্পায়ারদের রিপোর্ট ও ম্যাচ রেফারির শাস্তি জানানোর জন্য শনিবার গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলন করেন সিসিডিএমের চেয়ারম্যান কাজী ইনাম। সেখান তিনি বলেন, ‘বোর্ড সভাপতি আমাদের ডেকেছিলেন। উনি এ বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন এবং পুরো বিষয় জানতে চেয়েছেন। এই ঘটনার মূল কারণ জানতে চান। ৩ দিন পর আমাদের বোর্ড মিটিং আছে। তার আগেই উনি তদন্ত করতে বলেছেন। একটা কমিটি করে দিয়েছেন। সেই কমিটিতে আমি আছি, জালাল ভাই আছেন, দুর্জয় আছেন, শেখ সোহেল আছেন এবং প্রধান ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান আছেন। আমরা সব ক্লাবের ম্যানেজার এবং অধিনায়কদের নিয়ে বসব আগামী দুই দিনের মধ্যে।‘
- ৫-০ গেলে শেষ হলো বাংলাদেশের প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটের খেলা
- কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন ফখরুল ইসলাম, চোখের জলে ভেসে গেল শেষ বিদায়
- জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
- বড় পতন স্বর্ণের দামে : আজকের ২২ , ২১ , ও ১৮ ক্যারেট সোনার দাম, জেনেনিন
- ৮-০ গেলে শেষ হলো বাংলাদেশের ফুটবল ম্যাচ
- পিএসজি বনাম ইন্টার মায়ামি: কয়েক মিনিট পরেই খেলা শুরু, বাংলাদেশ থেকে ফ্রিতে লাইভ দেখবেন যেভাবে
- ৩০ হাজার টাকা করে পাবেন যেসব শিক্ষকরা, তালিকা প্রকাশ
- ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া ব্যক্তিদের সুখবর দিলো সৌদি
- মেসি তিন নম্বরে, ‘প্রতিবাদ’ জানালেন রোনালদো
- তারেক রহমানকে নিয়ে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
- বাড়লো আজকের মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট (২৮ জুন ২০২৫)
- ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভবিষ্যদ্বাণী
- “মাত্র ৪০ টাকায় পুলিশে চাকরি! সারাদেশে কনস্টেবল নিয়োগ, সুযোগ পেতে দেরি নয়”
- ওমানি মুদ্রার আজকের রেট ( ২৯ জুন )