মূলত মুশফিকুর রহিমের একটি এলবিডব্লিউ আউট না দেওয়ার কারণে রেগে যান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

এসময় আম্পিয়ারের সামনেই লাথি মেরে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেট লীগে আবাহনীর হয়ে আম্পেয়ারদের নিয়ে অভিযোগের কোনো শেষ নেই। এবারের লিগেও বেশ কয়েকবার আম্পায়ারদের নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত সাতটি ম্যাচ খেলেছে প্রতিটি দল।

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই যে এখন পর্যন্ত আবহনী লিমিটেডের কোন ব্যাটসম্যান এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হননি। এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলোতে আকাশি-নীলদের ২৯টি উইকেটের পতন ঘটলেও যেখানে দেওয়া হয়নি একটিও লেগ বিফোর উইকেট বা এলবিডব্লিউ।

বোলার-ফিল্ডাররা যতই আবেদন করুক না কেন এ সময়ে আবাহনীর বিরুদ্ধে আম্পায়ারদের আঙুল উঠেনি একবারও। ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জন, আবাহনীর বিরুদ্ধে আঙুল তুলতে দ্বিধায় থাকেন ফিল্ড আম্পায়াররা।

ঘটনাটা কাকতালীয় বলেই মেনে নেওয়া যেত, যদি না আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে সাকিব আল হাসানের ঘটনাটা না ঘটত।

মুশফিক পরিষ্কার এলবিডব্লিউ হলেও তাতে সায় দেননি মাহফুজুর রহমান। এরপরেই তো বাধে বিপত্তি। তবে আবহনী লিমিটেড বাদে বাকি ১১ টি দলের ব্যাটসম্যানরা এল‌বিড‌ব্লিউ আউট হয়েছেন।

টুর্ণামেন্টে এখন পর্যন্ত এলবিডব্লিউ আউট হয়েছেন মোহা‌মেডা‌নের ৪ জন, প্রাইম ব্যাংকের ৬ জন, শেখ জামালের ৪ জন, শাইনপুকুরের ৫ জন, খেলাঘরের ৩ জন, ব্রাদার্সের ২ জন, গাজী গ্রুপের ২ জন, লে‌জেন্ডস অব রূপগঞ্জের ২ জন, ওল্ড‌ডিওএইচএসের ২ জন, পার‌টেক্সের ২ জন, প্রাইম ‌দো‌লেশ্বরের ২ জন।