সেই লক্ষ্য তাড়া করতে এসে দুই স্পিনার নাহিদুল ইসলাম ও নাইম হাসানের ঘূর্ণিতে ধসে পড়ে রুপগঞ্জের ব্যাটিং লাইনআপ। ১০১ রানের বড় জয়ে টেবিলের শীর্ষস্থানে ফিরলো তামিমরা।

আজ শুক্রবার মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে এসে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তোলে প্রাইম ব্যাংক। জবাবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১২ বল বাকি থাকতেই সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ৬৮ রান তোলে রুপগঞ্জ।

ব্যাট করতে এসে ভালো শুরু পায় প্রাইম ব্যাংক। একপাশে ওপেনার রনি তালুকদার চার ছক্কায় রানের চাকা সচল রাখেন। তবে অন্যপ্রান্তে থাকা তামিম ইকবাল খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। ২০ বলে ১২ রান করে নাভিল সামাদের শিকার হন তিনি। তামিম ফিরলে ৩৫ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে।

তিনে আসা অধিনায়ক এনামুল হকের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন রনি। এই জুটিতে রনির ব্যক্তিগত টানা দ্বিতীয় অর্ধশতকের পাশাপাশি ৬৭ রানের সংগ্রহ পায় তারা। তবে ফিফটি করে আর থিতু হতে পারেননি রনি। ৩১ বলে পাঁচ চার ও তিন ছয়ে ৫৩ রান তোলেন তিনি। শেষের দিকে মোহাম্মদ মিঠুনরা নিয়মিত বিরতিতে আসা যাওয়ায় ব্যস্ত ছিলেন। তবে ব্যাট হাতে এক পাশ আগলে রেখে দলকে ১৬৯ রানের পুঁজি গড়ে দেন বিজয়। ৪৬ বলে ৫৮ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে এসে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন রুপগঞ্জের ওপেনার আজমীর আহমেদ। প্রথম ওভারে বল করতে আসা নাহিদুল ইসলামকে একটি চার ও একটি ছয় মারেন তিনি। তবে ওই ওভারের পঞ্চম বলে এই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান নাহিদুল। পরের ওভারে বল করতে এসে দ্বিতীয় বলেই তিনে আসা সাব্বির রহমানকে ফেরান রুবেল হোসেন।

নড়বড়ে শুরুর পর আরও ভেঙে পড়ে রুপগঞ্জের ব্যাটিং লাইনআপ। ৪৮ রান তুলতেই সাত ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা। বল হাতে দারুণ নৈপুণ্যতা ধরে রাখেন নাহিদুল। তার সঙ্গে রুপগঞ্জকে চেপে ধরেন নাইম হাসান। ৬২ রানের মাথায় মুক্তার আলীকে শরিফুলের তালুবন্দি করে ফেরান রুবেল।১৮তম ওভারে বল করতে এসে পাঁচ রান দিয়ে শহিদুলকে ফেরান মিঠুন। এতেই ৬৮ রানে থামে রুপগঞ্জের ইনিংসের গতি।

প্রাইম ব্যাংকের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন নাহিদুল ইসলাম। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেন নাইম ইসলাম ও মোহাম্মদ রুবেল হোসেন। আর একটি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও মিঠুন। বল করেননি মুস্তাফিজুর রহমান।