হেরাথের এমন প্রস্তাবে অবশ্য মনে ধরেনি বিসিবির। বিবেচনায় ছিলেন পাকিস্তানের সাইদ আজমল এবং ভারতের সাইরাজ বাহুতুলে। ড্যানিয়েল ভেট্টরির সঙ্গে এমন শর্ত সাপেক্ষে ছিল বোর্ডের। এবার তাই খণ্ডকালীন নয়, দীর্ঘ মেয়াদের জন্য একজন স্পিন বোলিং কোচ খুঁজছে বিসিবি। তাই আপাতত হেরাথকে বিবেচনায় রাখছে না বোর্ড।

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। তাছাড়া চুক্তি সই করার আগে হেরাথের নাম গণমাধ্যমে আসার বিষয়টি ভালোভাবে নেননি তিনি। তার মতে, চুক্তি সই না হওয়া পর্যন্ত এসব নাম বাইরে আসা উচিত নয় এবং বোর্ডের জন্য এটি বিব্রতকর।

জালাল ইউনুস বলেন, ‘এইযে একটা নাম উঠে আসল, এটা আসলে হওয়া উচিত ছিল না। নামটা বাইরে আসা উচিত হয়নি। কারণ কোন কিছু তার সঙ্গে চূড়ান্ত হয়নি। কারও সঙ্গে চুক্তি সই না হওয়া পর্যন্ত নাম বাইরে আসা উচিত না।’এটা বোর্ড এবং যে ক্যান্ডিডেট থাকে তার জন্য বিব্রতকর। কোন না কোন জায়গায় হয়তো সে জড়িত থাকে। এটা আপনাদের সামনে চলে এসেছে কিন্তু এটা হওয়া উচিত হয়নি’ আরও যোগ করেন তিনি।

২০১৯ সালে স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে নিয়োগ দিয়েছিল বিসিবি। চুক্তি ছিল, তাইজুল-মিরাজদের সঙ্গে ১০০ দিন কাজ করবেন তিনি। কাজের হিসাবে তাঁর বেতনও ছিল অনেক বেশি। আর করোনার কারণে সাবেক এই কিউই স্পিনারকে গেল দেড় বছরে বেশির ভাগ সময়েই পায়নি ক্রিকেটাররা।

তাই ভেট্টরির জায়গায় কাওকে নিয়োগ দিতে এখনও খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে বোর্ড। এখন পর্যন্ত আর কারও নাম নেই বোর্ডের কাছে। জালাল বলেন, ‘এটা আসলে বলা কঠিন। কারণ হুট করে তো একজন কোচকে নিয়োগ দেয়া যায় না। প্রোফাইল দেখে বা বাংলাদেশে সে মানিয়ে নিতে পারবে কিনা।’

‘কত দিনের জন্য আসবে সঙ্গে অনেক কিছু ভাবতে হয় একজন কোচকে নিয়োগ দেয়ার আগে। এগুলো যদি নিশ্চিত না হয় আর দুই পক্ষ সম্মতিতে না যায় তাহলে কোন কোচকে নিয়োগ দেয়া কঠিন। এই মুহূর্তে কোন কোচকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। যেহেতু ড্যানিয়েল ভেটরি আমাদের সঙ্গে নেই তাই স্পিন কোচ খোঁজা হচ্ছে। এমন কেউ নেই যার নাম এখন বলা যায়’ আরও যোগ করেন তিনি।