ওই টুর্নামেন্টগুলোতে অংশ নিয়ে র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি করে টোকিও অলিম্পিকে খেলার সম্ভাবনা ছিল সিদ্দিকুরের। মহামারির কারণে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে তার।

তাই হতাশ সিদ্দিক, ‘এবার মনে হয় টোকিও অলিম্পিকে খেলা হচ্ছে না আমার। কারণ গত ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বব্যাপী এশিয়ান ট্যুর স্থগিত। করোনার জন্য দেশের বাইরে খেলতে যেতে পারছি না। কিছু টুর্নামেন্ট খেললে র‌্যাংকিংয়ে উপরে উঠতে পারতাম এবং টোকিও অলিম্পিকে খেলার সুযোগ থাকত।’ তবে টোকিও অলিম্পিকে খেলা হবে না বলে কোনো আক্ষেপও নেই দেশসেরা এই গলফারের, ‘একটি (রিও) অলিম্পিকে তো খেলেছি। বিশ্বব্যাপী এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই করোনা মহামারির এই সময়ে অলিম্পিকে খেলার সুযোগ না পাওয়ায় মন খারাপ হচ্ছে না। বিষয়টি আমি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছি।’

অন্য ডিসিপ্লিনে অলিম্পিকে খেলার জন্য ওয়াইল্ড কার্ডের সুবিধা থাকলেও গলফের ক্ষেত্রে তা নেই। সিদ্দিকুর বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি গলফ ডিসিপ্লিনের ক্ষেত্রে নিজ যোগ্যতায় অলিম্পিকে খেলতে হয়।

সাধারণত গলফে ওয়াইল্ড কার্ড দেওয়া হয় না।’ টুর্নামেন্টে খেলা হচ্ছে না বলে যুক্তরাষ্ট্রে অনুশীলন করতে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়ে একটি আবেদন করেছিলেন সিদ্দিকুর। এখনো সাড়া মেলেনি। তবে আশা ছাড়ছেন না তিনি।