দেখেনিন ক্রিকেট বিশ্বের অধিনায়কদের বেতন কত কোটি টাকা

যারা খেলেই সময় পার করেন বা খেলাই যাদের রুটি-রুজির একমাত্র মাধ্যম তাদের কথা এবং খেলার উত্তরোত্তর উন্নতির কথা চিন্তা করেই হয়তো খেলায় পেশাদারিত্ব এসেছে। বতর্মান সময়ে যারা জাতীয় পর্যায়ে খেলা এবং খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত আছেন হয়তো আর্থিকভাবে তারা অন্য পেশার মানুষের তুলনায় বেশ ভালো আছেন।
টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে আয়ের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে ভারত। তারপরই আছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।ক্রিকেট খেলুড়ে এই দলগুলোকে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা কেমন সম্মানী পান তা একটু দেখে নেয়া যাক-
বিরাট কোহলি-ঃ বিরাট কোহলির অধীনে ভারত টেস্ট ক্রিকেটে শক্তিশালী দলে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে দেশের বাইরে শক্তিশালী পেস বোলিং লাইনআপের কারণে। বর্তমানে টেস্ট র্যাংকিংয়ের এক নম্বর দল ভারত, সাদা বলের ক্রিকেটেও সমান সমীহ জাগানিয়া দল। কোহলি অধীনেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৩-১ সিরিজ জিতেছে ভারত।
কোহলির অধীনে মোট ৬০ টেস্টের ৩৬টিতে জিতেছে ভারত। ক্রিকেটে বোর্ডের এ প্লাস ক্যাটাগরিতে থাকা কোহলি বেতন পান ৭ কোটি ভারতীয় রুপি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা।
বাবর আজম-ঃ বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা প্রতিভাবান এই ব্যাটসম্যানকে সম্প্রতি তিন ফরম্যাটেই পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সরফরাজ আহমেদ এবং লাল বলের ক্রিকেটে আজহার আলীর স্থলাভিষিক্ত হন তিনি।
পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে এ ক্যাটাগরিতে আছেন বাবর। তার বার্ষিক বেতন ১৩.২ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭২ লাখ টাকা। তরুণ এই স্টাইলিশ অধিনায়কের অধীনে পাকিস্তান চার টেস্টের সবকটিতে জয়ের পাশাপাশি ওয়ানডেতে জিতেছে ছয় ম্যাচের চারটিতেই। অন্যদিকে, ২১ টি-টোয়েন্টির ১৩টিতে জয়ের বিপরীতে হারের মুখ দেখেন ৬টিতে।
ইয়ন মরগ্যান-ঃ ২০১৫ বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর ইয়ন মরগ্যান ইংল্যান্ড দলের খোলনলচে বদলে ফেলেন। যার ফলশ্রুতিতে ঘরের মাঠে জিতেছেন ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ইংল্যান্ডকে ১২১ ওয়ানডেতে এবং ৫৭ টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়ে যথাক্রমে ৭২ ও ৩৩ ম্যাচে জিতিয়েছেন এই আইরিশম্যান। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের বেতন ১ লাখ ৭০ হাজার পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি টাকা।
জো রুট-ঃ অধিনায়কদের মাঝে বোর্ডের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি বেতন পান জো রুট। বছরে তার বেতন ৮ লাখ ৭০ হাজার পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ২০১৭ সালে অ্যালিস্টার কুকের কাছে থেকে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পান জো রুট। দুইবারের দেখায় এখনও অ্যাশেজ জিততে না পারলেও টেস্ট জিতেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারতের বিপক্ষে। তার অধীনে ৫০ টেস্টের মধ্যে ২৬ ম্যাচে জয় পায় ইংল্যান্ড।
কেন উইলিয়ামসন-ঃ নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এবং বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম ক্রিকেট মস্তিষ্ক। তার অধীনেই কিউইরা পার করছে ইতিহাসের সেরা সময়। সুপার ওভারের নিয়মের মারপ্যাঁচে ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরে গেলেও উইলিয়ামসনের দল এখন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের অপেক্ষায়।
কেনের অধীনে কিউইরা জিতেছে ৩৫ টেস্টের ১৯টিতে, ৫০ ওয়ানডের ২৬টিতে এবং ৪২ টি-টোয়েন্টির ১৯টিতে। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান বছরে ৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার বেতন পান, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এর পাশাপাশি অধিনায়ক হিসেবে বোনাস পান ৪০ হাজার ডলার বা প্রায় ৩৩ লাখ টাকা।
অ্যারন ফিঞ্চ-ঃ বল টেম্পারিং বিতর্কে স্টিভ স্মিথ নিষিদ্ধ হলে অধিনায়কের দায়িত্ব পান অ্যারন ফিঞ্চ। তার অধীনেই ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলে অজিরা। ফিঞ্চের অধীনে ৪১ ওয়ানডেতে ২৩টি এবং ৪৩ টি-টোয়েন্টিতে ২২টি জিতেছে অজিরা। সর্বশেষ চুক্তি অনুযায়ী, ফিঞ্চ বছরে ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার বেতন পান, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
টিম পেইন-ঃ স্যান্ডপেপার কেলেঙ্কারিতে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, ক্যামেরন ব্যানক্রফট নিষিদ্ধ হলে টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্ব পান টিম পেইন। তার অধীনেই ২০১৯ অ্যাশেজ নিজেদের ঘরে রাখতে সক্ষম হয় অজিরা। সম্প্রতি ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে হেরে গেলেও বছর শেষে হতে যাওয়া অ্যাশেজে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন অজিদের। পেইনের বার্ষিক বেতন ২ লাখ ৭৮ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
দ্বিমুথ করুনারত্নে-ঃ সাঙ্গাকারা, জয়াবর্ধনে, দিলশানদের অবসরের পর রীতিমত দুঃসময় পার করছে লঙ্কান ক্রিকেট। গত কয়েক বছরে বহুবার অধিনায়ক পরিবর্তন করার পর অবশেষে দলের হাল ধরেন দিমুথ করুণারত্নে। যাতে দলের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তার অধীনেই লঙ্কানরা দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে।
যদিও জয়ের ধারা বজায় রাখতে পারেনি তারা, পরের ১২ টেস্টে জিতেছে কেবল তিনটিতে। সর্বশেষ চুক্তি অনুযায়ী, লঙ্কান টেস্ট দলপতি দিমুথ করুণারত্নের বার্ষিক আয় ৭০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ লাখ টাকা।
কুশল পেরেরা-ঃ ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকেই সাদা বলের ক্রিকেটে সাফল্য পাচ্ছে না লঙ্কানরা। দীর্ঘমেয়াদে অধিনায়ক নিযুক্ত না করে অধিনায়ক পরিবর্তন করা হয়েছে প্রতিনিয়ত। যার সর্বশেষ সংযোজন কুশল জেনিথ পেরেরা। সম্প্রতি বাংলাদেশ সিরিজের আগে নতুন অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয় এই বাঁহাতি মারকুটে ব্যাটসম্যানকে। অধিনায়ক হিসেবে তিনি পাবেন ৩৫ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
কইরন পোলার্ড-ঃ ২০১৯ বিশ্বকাপের পরেই কইরন পোলার্ডকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়। এখনও পর্যন্ত তার নেতৃত্বে ১৫ ওয়ানডের ৯টি এবং ১৭ টি-টোয়েন্টিতে সাতটি জিতেছে ক্যারিবিয়রা। সর্বশেষ চুক্তি অনুযায়ী, পোলার্ড বছরে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার বেতন পান, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকা।
ক্রেইগ ব্রাথওয়েট-ঃ জেসন হোল্ডার বাংলাদেশ সফর থেকে নাম সরিয়ে নিলে ক্রেইগ ব্রাথওয়েট অন্তবর্তীকালীন অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। প্রায় তৃতীয় সারির দল নিয়ে তার নেতৃত্বে ক্যারিবীয়রা বাংলাদেশকে ২-০ ব্যবধানে হারায়; ফলশ্রুতিতে তাকেই পাকাপাকিভাবে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয় উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। প্রতি মৌসুমে ব্রাথওয়েট ২ লাখ ডলার পেয়ে থাকেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
ডিন এলগার-ঃ সম্প্রতি কুইন্টন ডি কক দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলে তার জায়গায় ডিন এলগারকে দায়িত্ব দেয় ক্রিকেট বোর্ড। অধিনায়ক হিসেবে তার প্রথম সিরিজ ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সামনের মাসে। এই বাঁহাতি ওপেনার বেতন পান ৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
টেম্বা বাভুমা-ঃ টেম্বা বাভুমা দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অধিনায়ক। অধিনায়ক হিসেবে কুইন্টন ডি ককের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। তার অধীনে প্রোটিয়ারা ৩ ম্যাচ খেলে জিতেছে কেবল একটিতে। বাভুমা বোর্ডের কাছে থেকে বেতন পান ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি টাকা।
মোমিনুল হক-ঃ বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মোমিনুল হক ‘এ’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটার। তাঁর মাসিক বেতন তিন লাখ টাকা, অর্থাৎ বার্ষিক বেতন ৩৬ লাখ টাকা। এটা বাদেও অধিনায়ক হিসেবে বাড়তি একটা সম্মানী পান তিনি।
বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক-ঃবর্তমানে বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি অনুযায়ী দু’জনই এ+ ক্যাটাগরির ক্রিকেটার। দু’জনই শুধু ক্রিকেটার হিসেবে বোর্ডের কাছ থেকে মাসে চার লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক পান। অর্থাৎ তাঁদের বার্ষিক আয় ৪৮ লাখ টাকা। এটা বাদেও অধিনায়ক হিসেবে বাড়তি একটা সম্মানী পেয়ে থাকেন দুজনেই।
- খবরটি পাওয়া মাত্রই ইরানজুড়ে উচ্ছ্বাস, বিজয়ের আনন্দ
- বাংলাদেশকে নতুন করে ৯টি নিষেধাজ্ঞা দিলো ভারত
- কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন ফখরুল ইসলাম, চোখের জলে ভেসে গেল শেষ বিদায়
- কমেছে স্বর্ণের দাম, ক্রেতাদের জন্য বড় সুযোগ
- ভিসা ইস্যুতে বড় সুখবর দিল সৌদি আরব
- ৩০ হাজার টাকা করে পাবেন যেসব শিক্ষকরা, তালিকা প্রকাশ
- লিভার নষ্ট করে যেসব খাবার
- লজ্জার ইতিহাস গড়ে শেষ হলো বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার টেস্ট ম্যাচ
- শরীরের ৫টি অঙ্গ পরিষ্কার না করলে যা ঘটবে
- বড় সুখবর সৌদি প্রবাসীদের জন্য! জানুন আবেদনের নিয়ম
- নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করলো জামায়াত ইসলাম
- জিহ্বার রঙ দেখে বুঝেনিন আপনি কোন রোগে আক্রান্ত
- বাড়লো আজকের মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট (২৮ জুন ২০২৫)
- বাংলাদেশের টেস্ট হারের পর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিণ সিদ্ধান্ত নিলেন শান্ত
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়কের বিস্ফোরক অভিযোগ: ‘সবাই যেন আমাদের বিরুদ্ধে খেলছিল’