১১২ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের দুই ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী ও মিজানুর। ১৯ বলে ২১ রান করে জুনায়েদ ফিরলে ভাঙে তাঁদের দুজনের ৫৩ রানের উদ্বোধনী জুটি।

তিনে নেমে জাহিদুজ্জামান ধীরগতিতে ব্যাটিং করলেও দ্রুত রান তুলেছিলেন মিজানুর। ফলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরির পর আরও আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন দলটির অধিনায়ক।

হাফ সেঞ্চুরির পরের ১১ বলে করেছেন ২৪ রান। শেষ পর্যন্ত ৫২ বলে ৭৪ রান করে মোহাম্মদ শহিদের বলে সাজঘরে ফেরেন মিজানুর। এরপর জাহিদুজ্জামান অপরাজিত ১১ এবং মাইশুকুর রহমান অপরাজিত ৬ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন।

এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রুপগঞ্জের অধিনায়ক নাঈম। তবে দলকে প্রত্যাশা অনুযায়ী শুরু এনে দিতে পারেননি দলটির দুই ওপেনার আজমির আহমেদ ও সাদমান ইসলাম।

৪ বলে মাত্র ১ রান করে ইনিংসের প্রথম ওভারেই আলাউদ্দিন বাবুর বলে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আজমির। থিতু হওয়ার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছেন সাদমান। সুজন হাওলাদের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে বাঁহাতি ওপেনার করেছেন ১০ বলে ৭ রান।

এরপর দলীয় অধিনায়ক নাঈম হাল ধরলেও আলামিন হোসেন জুনিয়র ও সানজামুল ইসলামরা সুবিধা করতে পারেননি। আলামিন ১২ বলে ৪ আর সমান সংখ্যক বল খেলে ১৩ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন সানজামুল। এরপর অবশ্য রান তোলার গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন সাব্বির ও জাকের আলী অনিক।

সমান একটি করে ছক্কা-চারে সাব্বির ১৮ বলে ২৩ রান করলেও জাকের ফিরেছেন ১৫ বলে ১২ রান করে। শেষ দিকে আর কোন ব্যাটসম্যান সেভাবে দাঁড়াতে না পারায় ১৯.১ ওভারে ১১১ রানে অলআউট হয় রুপগঞ্জ। ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন আলাউদ্দিন।

এদিন হ্যাটট্রিক করেছেন ডানহাতি এই পেসার। ইনিংসের ১৮তম ওভারের শেষ দুই বলে মুক্তার আলী ও সোহাগ গাজীকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান আলাউদ্দিন। আর ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে নাবিল সামাদকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি।

২০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের পঞ্চম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছেন আলাউদ্দিন। বাকি চারজন হলেন, আল আমিন হোসেন (যার দুটি হ্যাটট্রিক রয়েছে), কামরুল ইসলাম রাব্বি, আলিস আল ইসলাম এবং মানিক খান। আলাউদ্দিন ছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সুজন ও সাকলাইন সজীব।