কখনও কখনও আবার এই ইনজুরি একজন পেসারের ক্যারিয়ারও শেষ করে দিতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী কোনো ইনজুরি না হলে কামব্যাক করাটা অবশ্য কিছুটা সহজ হয়ে থাকে পেসারদের জন্য।

বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ পেসার রুবেল হোসেন লম্বা সময় ধরে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন দলকে। ফলে তার ইনজুরি হবার শঙ্কাও একটু বেশিই। দীর্ঘদিন ধরে বয়ে বেড়ানো মেরুদণ্ডের চোট নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠার কারনে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকেও ছিটকে যাচ্ছেন তিনি।

ঘন ঘন ইনজুরির কবলে পড়া রুবেল হোসেনের জন্য স্থায়ী চিকিৎসা কি হতে পারে সেটা নিয়ে যখন আলোচনা চলছে তখন বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানালেন ইনজুরি থেকে সুস্থ হতে রুবেলকে থাকতে হবে দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসনে।

দেবাশীষ চৌধুরী বলেন,

‘’রুবেল যেহেতু এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এলিট লেভেলে বোলিং করছে, এ ধরনের পেস বোলারদের মেরুদণ্ডে কিছু চোট হয়ে থাকে। রুবেলও ব্যতিক্রম নয়। আমরা কয়েক দফায় স্ক্যান করিয়েছি। লো ব্যাকে কিছু সমস্যা দেখা গেছে যেটা দীর্ঘমেয়াদী বোলিংয়ের রিঅ্যাকশন হিসেবে আমরা সাধারণত পেয়ে থাকি। রুবেলের জন্য পুনর্বাসন প্রক্রিয়া খুব জরুরী। এই সমস্যাটা মাঝেমাঝেই মাথাচাড়া দিবে। রুবেলকে সবসময়ই খুব ভালো একটা রিহ্যাব প্রক্রিয়ায় থাকতে হবে।‘’

রুবেলের ইনজুরির কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘’এটা থাকবে, এটা নিয়েই চলতে হবে। শ্রীলঙ্কা সিরিজে এভেইলেবল কি না সেই সিদ্ধান্ত লাস্ট মোমেন্টে নেবে। ওর রিহ্যাব চলছে। যখন নির্বাচকরা বলবে আজ ওর কি অবস্থা, আমরা অবস্থা জানাব। এখন তো বলার দরকার নেই পাঁচ দিন পর কি হবে। নিশ্চয়ই অবস্থা পরিবর্তিত হবে, ভালো হবে। যতদিন খেলাধুলা খেলবে ততদিন এই পুনর্বাসনে থাকবে।

যেকোনো বোলার যেই ১২-১৫ বছরের বেশি খেলেছে ওরা কিন্তু লিজেন্ড। ১২-১৫ বছর খেলা পেস বোলারদের জন্য সহজ না। রুবেলের মত পৃথিবীর অনেক বোলারই এই সমস্যায় ভুগছে। তো দেখা যায় ওদের ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয় না, বা অন অ্যান্ড অফ হয়। মাঝেমাঝে খেলে আবার ড্রপ হয় আবার খেলে।‘’