পরে ভ্যাঙ্গেলিয়া জানিয়েছিলেন, ঝড় তাকে উড়িয়ে নিয়ে যায়। বহু খোঁজাখুঁজির পরে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। কিন্তু তিনি যখন জ্ঞান ফিরে পান তখন বুঝতে পারেন চোখে কোনো সমস্যা হয়েছে। পরে তিনি সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যান।

দৃষ্টিহীন হিসেবেই ১৯২৫ সালে ভ্যাঙ্গা এক বিশেষ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে তার মধ্যে বেশ কিছু অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার উদয় দেখা দেয়। তিনি ভবিষ্যতে বলা শুরু করেন। অবলীলায় অনেক ঘটনা বলতেন যা পরবর্তীতে সত্যে পরিণত হতো। ১৯৯৬ সালে ৮৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান।

ভ্যাঙ্গা মারা যাবার আগে বেশ কিছু ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিলেন। তার ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর মধ্যে অনেক ঘটনাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে।

২০১৬ সাল থেকে ইউরোপের বিলোপ শুরু হবে বলে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। বর্তমান বিশ্বের আলোচিত বিষয় ব্রেক্সিট। মূলত এর মধ্যেমে ইউরোপের বিলোপ শুরু বলেই ধরে নেয়া যায়।

২০১৮ সাল থেকে পৃথিবীতে বড় আকারে ঘটবে এমন কিছু ঘটনায় তার ভবিষ্যদ্বাণীগুলো তুলে ধরা হলো;

২০১৮: এ বছর থেকে আমেরিকায় নানা সংকট সৃষ্টি হবে।

২০২৮: এই সালটি এখনো ১০ বছর বাকী। ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট দেখা দেবে।

২০৪৩: এ বছরটিতে রোম একটি মুসলিম নগরীতে পরিণত হবে। এ সময় রোমে খিলাফতের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।

২১৩০: বিশ্বের মানুষ মানুষ পানির তলায় বসবাসের বন্দোবস্ত করে ফেলবে।

২০৪৫: বিশ্বব্যাপী বড় বড় হিমশৈলগুলো গলতে শুরু করবে। পৃথিবীর অস্তিত্ব সংকট দেখা দেবে তখন।

২০৭৬: চলতি শতকের আশির দশকে ইউরোপে কমিউনিজম আবার মাথাচাড়া দেবে এবং তার প্রভাব পড়বে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও।

৩৭৯৭ সাল হচ্ছে পৃথিবীর সর্বশেষ সাল বা পৃথিবী ধ্বংসের সাল। এ বছরের মধ্যেই পৃথিবীর ধ্বংস অনিবার্য।

তবে ব্যাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী ৩৭৯৭ সালের মধ্যে মানুষ এক নক্ষত্রের সন্ধান পাবে; যেখানে গড়ে উঠবে পৃথিবীর উপনিবেশ।