কিন্ডারগার্ডেনের সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুখবর
সংগঠনটি বলছে, সম্পূর্ণ শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এসব কিন্ডারগার্টেনের ছয় লাখেরও বেশি শিক্ষক-কর্মচারী মানবেতর অবস্থায় দিন কা'টাচ্ছেন। তাছাড়া
কিন্ডারগার্টেন যেহেতু দেশের শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশের দায়িত্ব নিয়ে সরকারের ভা'র লাঘব করছে, তাই এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে দাঁড়ানো সরকারের কর্তব্য।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যেগে নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত সারাদেশে প্রায় ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। এসব স্কুলে লেখাপড়া করছে প্রায় ১ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী। শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে প্রায় ছয় লাখ।
দেশের প্রাথমিক শিক্ষার প্রায় শতকরা ৩০ ভাগ চাহিদা এ স্কুলগুলো পূরণ করে থাকে। করো'নাভাই'রাসের কারণে অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো কিন্ডারগার্টেনও বন্ধ রয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগও বন্ধ। কিন্তু শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের ওপরই এসব কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক ও কর্মচারীদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শিক্ষকরা বর্তমান পরিস্থিতিতে সঙ্গীন অবস্থায় থাকলেও সম্মানের খাতিরে তারা ত্রাণের জন্য দাঁড়াতেও পারেন না। বেসরকারি স্কুল শিক্ষকরা কখনো সরকারের কাছে বেতন-ভাতার জন্য আবেদন করেনি।
এসব স্কুল যদি না থাকত, তাহলে সরকারকে আরও ২৫ থেকে ৩০ হাজার বিদ্যালয় স্থাপন করে প্রতি মাসে শিক্ষক বেতন বাবৎ কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতে হতো। সেদিক থেকে আম'রা সরকারের বিরাট রাজস্ব ব্যয় কমিয়ে দিয়েছি। বর্তমান পেক্ষাপটে এ প্রতিষ্ঠানগুলো টিকিয়ে রাখার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর প্রায় লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা থেকে আমাদের জন্য ৫০ কোটি টাকা প্রণোদনা বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।