| ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

ওয়ান বুলেট, ওয়ান টার্গেট: শামীম ওসমান

জাতীয় ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০১৯ নভেম্বর ৩০ ১২:১৪:৩০
ওয়ান বুলেট, ওয়ান টার্গেট: শামীম ওসমান

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকায় ‘বক্তাবলী গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, অরজিনাল মুক্তিযোদ্ধারা কোনও সময় নিজের নাম বেঁচে না। আমার বাবা, আমার ভাই সবাই মুক্তিযোদ্ধা। আজকে আমারও শহীদ পরিবার হওয়ার কথা। কিন্তু লাকিলি আমরা শহীদ পরিবার সন্তান না অথবা আনলাকিলি।

মুক্তিযুদ্ধেও সময় বাংলাদেশে প্রথম ইয়ার অ্যাটাকে ভারতীয় বাহিনীর সাথে নিজের পিতা সামসুজ্জোহা নেতৃত্ব দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ঢোকার পরে, রেডিও বাংলাদেশে, হাইকোর্টে, সব জায়গায় জাতীয় পতা উঠিয়েছিলেন আমার আব্বা এবং রেডিওতে ভাষণ দিয়ে বলেছিলেন, ‘দেশ স্বাধীন হয়েছে, আপনারা সবাই শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে থাকেন’। এরপরই তিনি গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে মুক্ত করার জন্য। যারা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে আটকে রেখেছিল তারা জানতো যে দেশ স্বাধীন হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ বলেন, আমার আব্বা চুরুট খেতেন। চুরুট খেতে খেতে তিনি যাচ্ছিলেন সাদা পাঞ্জাবি পরা সাথে ছিলেন ভারতীয় জেনারেল। সে লক্ষ্য করেছিল পাকিস্তানি মেলেটারিরা থ্রি নট থ্রি রাইফেল না যেন মেশিনগান দিয়ে গুলি করেছিল আমার বাপকে, ওই চুরুটকে লক্ষ্য করে। ওই জেনারেল বাবাকে টান দিয়ে সরিয়ে দেন, গুলিটা আব্বার বুকে লাগেনি। তারপর আমার বাবা কিন্তু ফিরে আসেননি, ওই অবস্থাতেই সামনে এগিয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে মুক্ত করেন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কিছু ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা তখন ইন্ডিয়া থেকে ফিরছি। আমরা জানতাম আমার আব্বা মারা গেছেন। আমার মা অলরেডি হাতের চুড়ি খুলে ফেলেছেন। কিন্তু সাহস হারান নাই। এই ঋণ কেউ শোধ করতে পারবে না। এই ঋণ শোধ হবে যদি মুক্তিযোদ্ধার সপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকে, যদি কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান না করে। শামীম ওসমান আরও বলেন, চতুর্থদিকে শকুনরা আকাশে উড়তেছে। আমার কাছে কেন জানি মনে হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে খুব কঠিন একটা সময় আসছে। সব চেয়ে কঠিন সময়। এই সময় ছোবল মারার চেষ্টা হবে। ওয়ান বুলেট, ওয়ান টার্গেট। আর সেটা হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া একটা সম্পদ শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমি মরে গেলে কিছু আসবে যাবে না। হয়তো কেউ দু’চারদিন কাঁদবে, কেউ আবার খুশিই হবে। আমি গভীরভাবে চিন্তা করি, রাতের বেলা উঠে নামাজ পড়ি উনার জন্য। যে, এই মহিলার যদি কিছু হয়ে যায়! বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে দেশ ৫০ বছর পিছায়ে গেছে। আজকে আমাদের প্রতিযোগিতা থাকার কথা সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার উপরে, জাপানির সাথে। সেখানে আমরা কোথায় চলে গিয়েছিলাম?

সংসদ সদস্য বলেন, কত বড় ঈমানদার জাতি আমরা। যে লোকটা সারাজীবন সংগ্রাম করে দেশটা স্বাধীন করল, সে লোকটাকে একরাতে সবাইকেসহ মেরে ফেললাম! আমরাইতো মারছি। বাইরের লোকতো এসে মারে নাই। পাকিস্তান সাহস পায় নাই মারতে। আমরা বাঙালিরাই মারলাম। তার পুরো বংশ নির্বংশ করে ফেললাম। দু’টি মেয়ে দেশের বাইরে ছিলেন তাই বেঁচে গেছেন। আমি তাকে (শেখ হাসিনা) ভালোবাসি কেবল আওয়ামী লীগের নেত্রী হিসেবে না। আমি কদ্দিন রাজনীতি করবো, এমপিগিরি করবো আমি নিজেও জানি না। আমি স্বাধীনচেতা মানুষ। রাজনীতি করতে আসছি, ধান্দা করতে আসি নাই।

তিনি বলেন, ২০১৩’তে যখন প্রচণ্ড ষড়যন্ত্র চলছে আন্তর্জাতিকভাবে, আমি সেসব জানতে পারি সে যেকোনও ভাবেই হোক। দেশি-বিদেশি বন্ধু-বান্ধব আছে। আমি রাতের ১১টা বাজে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেলাম, বললাম, ‘আপা, গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।’ উনি হাসছেন। তখন রাত ১১টা ৪০ মিনিট। উনি একা, আমিও একা। তিনি হেসে উত্তর দিলেন, ‘কোথায় ষড়যন্ত্র?’ আমি একটা বাচ্চার মতো অবাক হয়ে গেলাম,বললাম,‘ষড়যন্ত্র আপনি দেখছেন না?’ তিনি বললেন, ‘আরে না রে, ষড়যন্ত্র না, মহাষড়যন্ত্র হচ্ছে।’ তিনি বললেন, ‘শোনো শামীম, বোমা হামলা হয়েছে তুমি মারা গেছো? আমাকে মারার চেষ্টা করা হয়েছে, আমি মরেছি? অত চিন্তা না করে যতদিন বাঁচবে গরীব মানুষদের জন্য কাজ করো। মরন যখন আসবে তখন মরবো।’ আমি বললাম, ‘দ্যাটস রাইট’।

শামীম ওসমান বলেন, আমি আর সজীব ওয়াজেদ জয় একই এলাকায় ছিলাম। টাকার জন্য সে নিজের গাড়ি বিক্রি করে দিলেন। আপাকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বললাম, ‘বাচ্চাগুলারে ক্যান কষ্ট দিলেন?’ তিনি বললেন, ‘হতাশ হইওনা।’

তিনি বলেন, আমি অনেক মানুষ দেখেছি। তার (শেখ হাসিনা) মতো এতটা দেশ প্রেমিক আর দেখিনি। তিনি তার বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করছেন। আপনারা তার জন্য হাত তুলে দোয়া করবেন। কারও না কারও হাত আল্লাহ কবুল করবেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিক, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল, শওকত আলী, ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন, মোহর আলীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

সুত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি

ক্রিকেট

শেষ হলো টস : জেনেনিন বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের একাদশ

শেষ হলো টস : জেনেনিন বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের একাদশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ (২৮ এপ্রিল) শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ের মধ্যে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ, যা ...

চার ছক্কার ঝড় তুলে শেষ হলো বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ,জেনেনিন ফলাফল

চার ছক্কার ঝড় তুলে শেষ হলো বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ,জেনেনিন ফলাফল

হার দিয়ে শ্রীলঙ্কা সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। ব্যর্থতা ভুলে দ্বিতীয় ম্যাচেই দারুণভাবে ...

ফুটবল

মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া

মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া

সম্প্রতি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জায়গা করে নেওয়া দল ফিল্ড ইউনাইটেডের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হামজা চৌধুরী একা ...

আর্জেন্টিনা: ৫, ব্রাজিল: ১

আর্জেন্টিনা: ৫, ব্রাজিল: ১

প্রথমবার ফুটসালের র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করলো আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা- ফিফা। নারী ও পুরুষ উভয় বিভাগে ...



রে