ঘূর্ণিঝড় বুলবুল নিয়ে জরুরি ৮ তথ্য
উৎপত্তিস্থল:
বুলবুলের উৎপত্তিস্থল উত্তর আন্দামান সাগর। নিরক্ষীয় ঝড় মত্ত ঘূর্ণিঝড় বুলবুল নামে পুনর্জন্ম লাভ করে।
উৎপত্তির সময়:বুলবুলের শুরু হয় ৫ নভেম্বর। এ দিন সেখানে প্রথমে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়, ছয় তারিখে গভীর নিম্নচাপ এবং সাত তারিখে দুপুরের দিকে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। ওইদিন রাত থেকে এটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়।
নামকরণ:আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরতীরবর্তী রাষ্ট্রগুলো নিয়ে গঠিত ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিল ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক (এসক্যাপ)
এর ৮ সদস্যের প্যানেল সকলের সম্মতির ভিত্তিতে নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম বছরের শুরুতেই নির্ধারণ করে থাকে। সেমতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের নামকরণ প্রস্তাব করে পাকিস্তান।
গতিপথ:নিরক্ষীয় ঝড় মত্ত ১৮০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পুনঃশক্তি অর্জন করে। এটি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। ২৪ অক্টোবর ফিলিপাইন সাগরে মত্ত গঠিত হয়। ফিলিপাইন সাগরকে
ঘূর্ণিঝড়ের আতুরঘর বলা হয়। বঙ্গোপসাগর থেকে ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে আসছে। বর্তমান অবস্থান ও গতি ঠিক থাকলে প্রবল গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় বুলবুল শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার ওপর দিয়ে বাংলাদেশ উপকূলে এগিয়ে আসবে।
আঘাতের সময়:গভীর সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা উপকূল অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড়টি বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
যেসব জেলায় আঘাত হানবে:১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত’র জেলাগুলো হলো, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা। এসব এলাকার সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।