আ'দালতের পরোয়ানায় মধ্যরাতে ঘেরাও করে ঘুমন্ত শি'শু গ্রে'প্তার
ওই শি'শুর নাম, মো. সিয়াম। তার বাবা মো. গিয়াস উদ্দিন, মা মৃ'ত লতায়ারা খাতুন। তাদের বাড়ি মেহেরপুরের গাংনী উপজে'লার পলা'শীপাড়া গ্রামের পূর্বপাড়ায়। সে গাংনী পলা'শীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশে বিধির ৮৩ ধারায় বলা আছে, সাত বছরের বেশি এবং ১২ বছরের কম যে শি'শুর বয়স, তার কাজকে প্রাথমিকভাবে অ'প'রাধ গণ্য যাবে না।
তবে গাংনী থানার এসআই আশরাফুল ইস'লাম (ত'দন্ত কর্মক'র্তা) বাদীর দায়ের করা মা'মলায় ৬০ বছরের একমাত্র আ'সামিকে মা'মলা থেকে বাদ দিয়ে এই শি'শুকে অ'ভিযুক্ত করে। ঢিল ছুড়ে আ'ঘাত করার অ'প'রাধে পু'লিশ তার বি'রুদ্ধে ৩২৬ ধারায় অ'ভিযোগ গঠন ও গ্রে'প্তারি পরোয়ানার আবেদন করে আ'দালতে।
মেহেরপুরের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট (গাংনী) আ'দালতের বিচারক শাহিন রেজা তা মঞ্জুর করেন।
আইনজীবীরা জানান, ৩২৬ ধারায় বলা আছে মা'রাত্মক অ'স্ত্র বা মাধ্যমের সাহায্যে গুরুতর আ'ঘাত করলে কোনো ব্যক্তি এ ধারায় অ'ভিযুক্ত হবে।
যদিও মা'মলার চার্জশিটে শি'শুটির বি'রুদ্ধে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলার সময় ঢিল ছুড়ে আ'ঘাতের কথা বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মেহেরপুর জে'লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি শফিকুল আলম বলেন, শি'শুর বি'রুদ্ধে গ্রে'প্তারি পরোয়ানা ও ৩২৬ ধারায় অ'ভিযোগ গঠন এবং সেটা আ'দালতের গ্রহণ কোনোটি আইনসিদ্ধ হয়নি। পুরো প্রক্রিয়ার সব আ'দালত ও পু'লিশ দু’পক্ষের ভুল। মধ্যরাতে ঘুমন্ত শি'শুকে বাড়ি থেকে গ্রে'প্তার করে শি'শুমনে আ'ঘাত করা হয়েছে।
মা'মলার বাদী দেলোয়ার হোসেন জানান, গত বছর অক্টোবরের পাঁচ তারিখ বিকাল ৫টায় নিজবাড়ির আঙিনায় তার নাতি সাথী খাতুন (৭) আ'সামি ইনজাল কারিকরের (৬০) নাতী সিয়াম ও জিয়ার সঙ্গে খেলছিল। তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জেরে ইনজাল কারিকর সাথীকে মা'রধর করে। সে পালাতে গেলে আ'সামি ইটের টুকরা ছুড়ে মা'রে।
তিনি জানান, এর পর নভেম্বরের ২৮ তারিখ এ অ'ভিযোগে এনে মেহেরপুরে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট (গাংনী) বিচারক শাহিন রেজার আ'দালতে মা'মলা করেন। আ'দালত মা'মলা'টি এজাহারভুক্ত করে অ'ভিযোগ দাখিলের জন্য গাংনী থানা পু'লিশকে নির্দেশ দেন। সাথী কসবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্রী।
তবে মা'মলার ত'দন্ত কর্মক'র্তা (আইও) আশরাফুল ইস'লাম অ'ভিযুক্ত নানাকে বাদ দিয়ে নাতিকে আ'সামি করে।
তার করা অ'ভিযোগে বলা হয়, ত'দন্তকালীন সময়ে মা'মলার একমাত্র আ'সামির বি'রুদ্ধে কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। শি'শুদের মধ্যে খেলার সময় আ'সামির নাতি সিয়াম পাকা রাস্তার পাথরের বালুকণা দিয়ে বাদির মেয়ে সাথীকে আ'ঘাত করায় তার ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
তিনি বিষয়টি স্থানীয়দের জবানব'ন্দিতে প্রমাণিত হওয়ায় শি'শু সিয়ামের বি'রুদ্ধে ৩২৬ ধারায় অ'ভিযোগ এনে চলতি বছরের মা'র্চের ১৬ তারিখ অ'ভিযোগ প্রদান এবং ওই শি'শুর বি'রুদ্ধে গ্রে'প্তারি পরোয়ানার আবেদন করেন আ'দালতে। আ'দালত তা মঞ্জুর করলে পু'লিশ গ্রে'প্তার করে শি'শুটিকে।
ওই শি'শুর বাবা গিয়াস উদ্দিন জানান, কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ বছর আগে শি'শুর মায়ের মৃ'ত্যু হয়। একই আঙ্গিনায় সব শি'শুর বাড়ি। খেলার সময় ছোট ইটের আ'ঘাতে শি'শু সাথী খাতুনের ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কিছুদিনের মধ্যেই সেই চোখ স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিন্তু ঈদের আগে গত শুক্রবার গভীর রাতে পু'লিশ তার বাড়ি ঘেরাও করে। আমাদের কিছু না জানিয়ে পু'লিশ ঘুমন্ত অবস্থায় ওইদিন শি'শু সিয়ামকে গ্রে'প্তার করে নিয়ে যায়। সকালে গাংনী থানায় গেলে পু'লিশ এই মা'মলার কথা জানায়।
সাংবাদিকরা শি'শু গ্রে'প্তারের ঘটনা জানতে গেলে নড়েচড়ে বসে পু'লিশ। ওইদিন দুপুরেই জামিন আবেদন করলে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট (গাংনী) বিচারক শাহিন রেজার আ'দালত শি'শুর জামিন মঞ্জুর করেন।
সরেজমিনে গেলে প্রত্যক্ষদর্শী আকলিমা বেগমসহ প্রতিবেশীরা জানান, শি'শুদের মধ্যে খেলার সময় ছোট ঢিলের আ'ঘাতে সাথীর চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরে চিকিৎসা নিলে সেই চোখ স্বাভাবিক ও সুস্থ হয়ে গেছে। এ ঘটনায় মূল আ'সামিকে বাদ দিয়ে শি'শুর বি'রুদ্ধে মা'মলা ও শি'শুকে গ্রে'প্তার ঘটনা খুব অমানবিক ও অন্যায়।
এ সময় ক্ষতিগ্রস্থ শি'শু সাথী খাতুন জানায়, ঘটনার কয়েকদিন পরই তার চোখ ভালো হয়ে গেছে। এখন সে দুচোখ দিয়েই ভালো দেখতে পায়।
অ'ভিযোগে আ'সামি পরিবর্তন প্রশ্নে মা'মলার বাদী দেলোয়ার হোসেন (সাথীর বাবা) জানান, মা'মলার ত'দন্ত কর্মক'র্তা পয়সা খেয়ে মূল আ'সামিকে বাদ দিয়ে শি'শুকে আ'সামি করেছে।
এ ব্যাপারে গাংনী থানার বর্তমান ওসি ওবায়দুর রহমান এবং মা'মলার কর্মক'র্তার বক্তব্য নিতে চাইলে পাওয়া যায়নি।
মেহেরপুরের অ'তিরিক্ত পু'লিশ সুপার মু'স্তাফিজুর রহমান ঘটনা স'ম্পর্কে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে চাইলেও পরে তিনি বক্তব্য দেননি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পু'লিশের দায়িত্বশীল একজন কর্মক'র্তা জানান, ত'দন্তে অবহেলা ও অজ্ঞতার কারণে মা'মলা'টি দুর্বল হলো। শি'শুটি অবিচারের শিকার হলো। যা নিন্দানীয়। বিচারক কিংবা পু'লিশ পুরো মা'মলা'টি ভালো করে পড়ে দেখলে এমন ভুল এড়ান যেত। সূত্র: দেশ রুপান্তর।
- দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস
- বিয়ের রাতেই শরীরের খেলা,ভাইরাল ভিডিও
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২৬ এপ্রিল ২০২৫)
- বাংলাদেশিদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু
- আইপিএলে সাকিব: ২০ লাখ রুপি দিয়ে কিনতে চাইছে যে দল
- ভারত পাকিস্থান সংঘাত : ড. ইউনুসের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ
- ব্রেকিং নিউজ : ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতার
- সুখবর পাসপোর্ট ইস্যুতে, এবার নেওয়া হলো যে নতুন উদ্যোগ
- অবাক বিশ্ব : ক্রিকেটে হতে চলছে নতুন এক ইতিহাস
- এক লাফে যত টাকা বোনাস বাড়ল শিক্ষক-কর্মচারীদের
- টানা ৩ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
- হারের মানেই বিদায়, আজ বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মুখোমুখি চেন্নাই ও হায়দরাবাদ
- এবার ভারতীয়দের ভিসা নিয়ে চরম দু:সংবাদ
- আজকের ওমানি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- ১ লটারিতে কপাল খুলেছে দুই প্রবাসী বাংলাদেশির