জেনেনিন কাশ্মীর ভারতের সাথে যুক্ত হওয়ার কারণ
গুলাব সিংহের প্রপৌত্র এবং রাজা অমর সিংহ জামওয়ালের পুত্র হরি সিংহ। চোদ্দ বছর বয়সে তিনি পিতৃহারা হন। সেই অবস্থায় তাঁর শিক্ষার দায়িত্ব নেয় ব্রিটিশ সরকার। মেজর এইচ কে ব্রার ছিলেন ব্রিটিশ সরকার নিযুক্ত তাঁর অভিভাবক। ব্রিটিশদের উদ্যোগে তিনি অজমেঢ়ের মেয়ো কলেজ থেকে শিক্ষা সম্পূর্ণ করেন। এরপর তাঁর সেনা-প্রশিক্ষণ হয় দেহরাদূনের তৎকালীন ইম্পেরিয়াল ক্যাডেট কর্পস-এ।
১৯১৫ সালে তিনি কম্যান্ডার-ইন-চিফ অব দ্য স্টেট ফোর্স নিযুক্ত হন। অন্য বেশির ভাগ রাজার মতো তাঁর জীবনও ছিল বিলাসব্যসনে ভরা। চার বার বিবাহ হয়েছিল হরি সিংহের। বিয়ের দু’বছর পরে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মারা যান তাঁর প্রথম রানি। তারপর দ্বিতীয় বিবাহ। পাঁচ বছরের দাম্পত্যের পরে মৃত্যু হয় নিঃসন্তান দ্বিতীয় মহিষীর।
তৃতীয় রানিও ছিলেন সন্তানহীনা। পুত্রসন্তানের জন্ম দেন চতুর্থ রানি, কাংড়ার তারা দেবী সাহিবা। বিয়ের তিন বছর পরে ১৯৩১ সালে জন্ম হয় হরি সিংহ ও তারা দেবীর একমাত্র পুত্র কর্ণ সিংহের। তবে ১৯৫০ সালে ভেঙে যায় রাজা হরি সিংহের চতুর্থ বিয়ে, ২২ বছরের দাম্পত্যের পরে।
কাকা প্রতাপ সিংহের মৃত্যুর পরে ১৯২৫ সালে সিংহাভিষেক হয় হরি সিংহের। তিনি নিজের রাজত্বে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছিলেন। আইন জারি করেছিলেন বাল্যবিবাহ রোধে। নিম্নবর্গের জন্য খুলে দিয়েছিলেন ধর্মস্থানের দরজা।
রাজনৈতিক ভাবে নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রাখতে চেয়েছিলেন হরি সিংহ। তিনি মুসলিম লিগের বিরোধিতা করেছিলেন। আবার কংগ্রেস বা জওহরলাল নেহরুরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন না। বরং, নেহরুর কাছের ছিলেন কাশ্মীরের তৎকালীন নেতা শেখ আবদুল্লা।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময়ে হরি সিংহ-ই ছিলেন কাশ্মীরের ক্ষমতায়। কিন্তু জম্মু কাশ্মীর কোন দিকে যাবে, ভারত না পাকিস্তান, সে প্রশ্নে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। ভারত বা পাকিস্তান কোনও দিকেই অন্তর্ভূক্ত করতে চাননি তাঁর প্রজাদের।
কিন্তু নিজের নিরপেক্ষ অবস্থান পাল্টাতে বাধ্য হলেন তিনি। তৎকালীন নর্থ ওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার প্রভিন্স বা আজকের খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে আসা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে তাড়াতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাহায্য নেওয়া ছাড়া তাঁর আর কোনও উপায় ছিল না।
পরিস্থিতির ফলস্বরূপ ১৯৪৭-এর ২৬ অক্টোবর ইনস্ট্রুমেন্ট অব অ্যাসেশনে স্বাক্ষর করেছিলেন মহারাজা হরি সিংহ। ফলত জম্মু কাশ্মীর অংশ হল স্বাধীন ভারতের। কিন্তু এই ঘটনার ফলে শুরু হল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ।
ঘটনাপ্রবাহ এবং পরিস্থিতি সবই হরি সিংহের জন্য বন্ধুর হয়ে ওঠে। তিনি বাধ্য হন ছেলে কর্ণ সিংহকে যুবরাজ ঘোষণা করতে। তবে তাঁর নামের পাশে ‘রাজা’ পরিচয় বহাল ছিল ১৯৫২ সালে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হওয়া অবধি।
পরিস্থিতির চাপে কাশ্মীর ছাড়তে বাধ্য হন হরি সিংহ। ক্ষমতায় আসেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা শেখ আবদুল্লা। তিনি ছিলেন কাশ্মীরের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী। অন্য দিকে হরি-পুত্র কর্ণ সিংহ ১৯৫২ সালে নিযুক্ত হন ‘সদর-এ-রিয়াসৎ’ বা ‘হেড অব স্টেট’ এবং ১৯৬৪ সালে ‘গভর্নর অব স্টেট’।
ক্ষমতাচ্যুত হরি সিংহের জীবনের শেষ দিনগুলো কেটেছিল আরবসাগরের তীরে সাবেক বম্বে শহরে। সেখানেই প্রয়াত হন ১৯৬১-র ২৬ এপ্রিল। শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, তাঁর চিতাভস্ম ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরে। অস্থি বিসর্জন করা হয়েছিল জম্মুর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া তাওয়াই নদীতে।
- পিএসএলে দুঃসংবাদ নেমে এলো রিশাদের জীবনে, একি বললেন শাহীন শাহ আফ্রিদি
- দেশে একলাফে কমলো স্বর্ণের দাম, জেনেনিন নতুন দাম
- পাকিস্তানে শক্তিশালী বো.মা বি.স্ফো.র.ণে নিহত.....
- আপনার যেসব বদঅভ্যাসের কারণেই কমে যাচ্ছে শারীরিক মিলনের চাহিদা
- হাসানত আব্দুল্লাহর চমকপ্রদ ঘোষণা: জানালেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম
- স্বর্ণের দাম কমলো, রেকর্ড উচ্চতা থেকে হঠাৎ পতন
- রাতের মধ্যে যেসব জেলায় সর্বোচ্চ ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের শঙ্কা
- বড় সুখবর পেঁয়াজের দাম নিয়ে
- চার ছক্কার ঝড় তুলে শেষ হলো বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ,জেনেনিন ফলাফল
- রোমান্সের দৃশ্য ভরপুর, মুহুর্তেই ভাইরাল ভিডিও
- এবার ফাঁস হলো নরেন্দ্র মোদির যে তথ্য, বিপদে ভারত
- বেড়েছে আজকের সিঙ্গাপুরের ডলার রেট
- অবৈধ প্রবাসীদের জন্য দারুন সুখবর : খুলে গেলো ভাগ্য
- সৌদিতে কিছুতেই রেহাই মিলছেনা প্রবাসীদের
- ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা দেশের আট অঞ্চলে