মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকাকালে সংঘটিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের দায়িত্ব যদি রাষ্ট্রযন্ত্রের হয়, তা হলে বর্তমান সরকারের শাসনামলে পিলখানা বিডিআর সদর দফতরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, হলি আর্টিজানে হত্যাকাণ্ড এবং জঙ্গি হামলায় নিহত বিদেশি কূটনীতিক, ব্যবসায়ী, এনজিও কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ইমাম-মোয়াজ্জিন, যাজক, পুরোহিত, ব্লগারসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষের হত্যাকাণ্ডের দায় ক্ষমতাসীনদের ওপরই বর্তায়।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ের যে পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে, তা ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক বক্তব্যের হুবহু প্রতিফলন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ড, জেলখানায় চার জাতীয় নেতার বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মতো ঘৃণ্য অপরাধকে একই সূত্রে গাঁথার যুক্তি সঠিক হলে বিএনপি কিংবা বিএনপি পরিচালিত রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপরাধী বলা হল কোন যুক্তিতে?

১৯৭৪ সালে বিএনপির জন্মও হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট কিংবা ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ডের বিচারে কোনো আদালতই বিএনপি কিংবা বিএনপির কোনো নেতাকে অভিযুক্ত, এমনকি সম্পৃক্তও করেনি। তা হলে ২১ আগস্টের ঘটনার বিচারের পর্যবেক্ষণে আগের দুটি ঘটনার উল্লেখ কতটা প্রাসঙ্গিক?

এ সময় তিনি রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায় হামলা হয়েছে বলে আদালতের যে পর্যবেক্ষণ, তা যুক্তিগ্রাহ্য কিংবা গ্রহণযোগ্য নয় বলে জোর গলায় বলেন।

সুত্র24লাইভনিউজপেপার