
মো : খুরশেদ আলম
সিনিয়র রিপোর্টার
নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকবে কিনা সরাসরি জানালো নির্বাচন কমিশনার

নির্বাচনে সেনাবাহিনী আর শুধু ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ নয়, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতো পূর্ণ ক্ষমতায় দায়িত্ব পালন করবে। এজন্য গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধন করে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে প্রস্তাব পাঠাতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রবিবার (২৪ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের জানান, সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আওতায় অন্তর্ভুক্ত করে আইনি কাঠামোতে আনা হয়েছে। এর ফলে সেনা সদস্যরা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদনের অপেক্ষা না করে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে।
পটভূমি
২০০১ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আরপিও সংশোধন করে সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে সেনা সদস্যদের পুলিশ কর্মকর্তার মতোই ক্ষমতা দেয়া হয়, এমনকি বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতাও ছিল। তবে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সরকার এ বিধান থেকে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বাদ দেয়। এরপর থেকে সেনাবাহিনী নির্বাচনকালীন সময়ে কেবল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল।
বর্তমান প্রস্তাব
ইসি এবার যে প্রস্তাব পাঠাচ্ছে, তাতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সব ধরনের নির্বাচনে সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পূর্ণ ক্ষমতায় যুক্ত থাকবে। কমিশনের দাবি, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ীই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন বলছে, এবারের জাতীয় নির্বাচনে দেড় লাখ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসারসহ অন্যান্য বাহিনীও থাকবে। এছাড়া সেনাবাহিনী থেকে ৮০ হাজার সদস্য মোতায়েন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম মনে করেন, প্রস্তাবিত সংশোধনীর মাধ্যমে ইসিকে আর সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকতে হবে না। সরাসরি সেনা সদর দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে সেনাবাহিনীকে নির্বাচনে কাজে লাগানো যাবে। এতে সেনাবাহিনীর স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ তৈরি হবে।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করে। কিন্তু সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। ফলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সেনাবাহিনীর পূর্ণ ক্ষমতা কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদও মনে করেন, বাংলাদেশের বাস্তবতায় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সেনাবাহিনী নিয়োগ অত্যন্ত জরুরি। কেবল স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়, পূর্ণ ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিতে হবে।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম বলেন, আগে সেনাবাহিনী চাইলেও কোনো পদক্ষেপ নিতে পারতো না, ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর নির্ভর করতে হতো। কিন্তু আরপিও সংশোধনের পর স্বাধীনভাবে তারা দায়িত্ব পালন করতে পারবে। তবে উপনির্বাচনে বারবার সেনা মোতায়েনের বিষয়টি ভবিষ্যতে বিবেচনা করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য
কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, জনগণের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। এজন্য শুধু জাতীয় নয়, সব নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। এবার থেকে সেনাবাহিনীও অন্যান্য বাহিনীর মতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সব ধরনের দায়িত্ব পালন করবে।
- ক্রিকেট বিশ্বে শোকের ছায়া : সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ভারতীয় ক্রিকেটারের
- চরম উত্তেজনায় শেষ হলো বাংলাদেশ ও নেপালের ম্যাচের প্রথমার্ধের খেলা
- বাংলাদেশ বনাম নেপাল : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ ,জেনেনিন ফলাফল
- অতিরিক্ত সময়ে আবারও গোল,চরম উত্তেজনায় শেষ হলো বাংলাদেশের ফুটবল ম্যাচ,জেনেনিন ফলাফল
- বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে শোকজ, তোলপাড় দলীয় মহল
- ৭১ ইস্যুতে নতুন বিতর্ক: পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রীর দাবি, বাংলাদেশের পাল্টা অবস্থান
- হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে চলছে বাংলাদেশ বনাম নেপাল ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- আজ বাংলাদেশ বনাম নেপাল ম্যাচ: লাইভ দেখবেন যেভাবে ও জানুন সময়সূচি
- হঠাৎ করেই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার
- তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেফতার যেভাবে ঢাকায় আনা হলো আফ্রিদিকে
- সরকারের এক সিদ্ধান্তে ৭০০ টাকার গরুর মাংস মিলবে ১২০-১২৫ টাকায়
- উপদেষ্টা আসিফের সঙ্গে নারীর ভাইরাল ছবি! সত্যটা জেনে হতবাক সবাই
- বাংলাদেশ বনাম নেপাল : শেষ হলো ৮০ মিনিটের খেলা,জেনেনিন ফলাফল
- আফগানিস্তানের এশিয়া কাপ দল : কারা ফিরলেন, বাদ পড়লেন কারা
- গোল গোল গোল, পরপর ২ গোল,দেখেনিন বাংলাদেশ ও নেপাল ম্যাচের ফলাফল