নিজস্ব প্রতিবেদক : বহুল আলোচিত জুলাই গণহত্যা মামলায় আসামি কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে। রোববার (২৪ আগস্ট) বরিশালে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ঢাকায় এনে আদালতে তোলা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।

গ্রেফতারের পর আফ্রিদির প্রথম বক্তব্য

গ্রেফতারের পর গাড়িতে ওঠার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৌহিদ আফ্রিদি। তিনি দাবি করেন, পালিয়ে থাকার অভিযোগ সঠিক নয়। তার ভাষায়—“আমি পালিয়ে যাইনি, আমি ভীত ছিলাম কারণ আমার স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বাবার গ্রেফতারের পর দাদার কবর জিয়ারত করতেই বরিশালে গিয়েছিলাম। আমি কোরআনের কসম করছি, আমি পালাব না। আমি ওমরাহ করে এসেছি, আমি কেমন মানুষ তা সবাই জানে।”

মামলার পটভূমি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের করা হত্যা মামলায় তৌহিদ আফ্রিদির নাম উঠে আসে। যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় ২৫ জনকে নাম উল্লেখ করে এবং আরও অন্তত ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এ মামলায় তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর আসামি।

মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দুই নম্বর আসামি সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তিন নম্বরে রয়েছেন পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

পরিবারের ওপর আঘাত

এর আগে, একই মামলায় তৌহিদ আফ্রিদির বাবা ও মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীকে ১৭ আগস্ট গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। বাবার গ্রেফতারের পর থেকেই মানসিক চাপে ছিলেন তৌহিদ আফ্রিদি, এমন দাবি করেছে তার ঘনিষ্ঠজনরা।