মো : মারুফ হোসেন
সিনিয়র রিপোর্টার
ব্যাংকে গভীর সংকট: মূলধন সংকটে ২৩ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত এক ভয়াবহ আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত, বিশেষায়িত ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ২৩টি ব্যাংক বর্তমানে মূলধন ঘাটতির ফাঁদে পড়েছে। এদের সম্মিলিত ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ২৮৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা—যা দেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
ঘাটতির কারণ: অনিয়ম, দুর্নীতি ও খেলাপি ঋণ
অর্থনীতিবিদদের মতে, এই সংকটের মূল কারণ দীর্ঘদিনের অনিয়ন্ত্রিত ঋণ বিতরণ, রাজনৈতিক প্রভাব, স্বচ্ছতার অভাব এবং খেলাপি ঋণের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি।বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, “এতোদিন অনেক ঋণ গোপন রাখা হয়েছিল। এখন প্রকৃত তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে বলেই খেলাপি ঋণের পরিমাণ হু-হু করে বাড়ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে ব্যাংকের মূলধনের ওপর।”
কারা সবচেয়ে সংকটে?
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী—
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক: ১৮,৯৪৫ কোটি টাকা ঘাটতি
ইউনিয়ন ব্যাংক (এস আলম গ্রুপ): ১৭,৪৯২ কোটি টাকা
জনতা ব্যাংক: ১২,৭৬৮ কোটি টাকা
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক (এস আলম): ৭,৭৯০ কোটি টাকা
ন্যাশনাল ব্যাংক: ৬,৯৩৮ কোটি টাকা
ইসলামী ব্যাংক (এস আলম): ৬,৪৫৪ কোটি টাকা
অগ্রণী ব্যাংক: ৫,৮২২ কোটি টাকা
পদ্মা ব্যাংক: ৫,১৭০ কোটি টাকা
রূপালী ব্যাংক: ৪,৪৭০ কোটি টাকা
এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকও মূলধন ঘাটতির তালিকায় রয়েছে।
সরকারের পরিবর্তনের প্রভাব
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর একাধিক ইসলামী ও বেসরকারি ব্যাংকের আর্থিক দুর্বলতা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অতীতে রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় যারা অনিয়ম ও লুটপাট চালিয়েছিল, তাদের অবস্থাই এখন সবচেয়ে সংকটাপন্ন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপ
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে—
ঘাটতিতে থাকা ব্যাংকগুলো থেকে পুনর্গঠিত মূলধন পরিকল্পনা চাওয়া হবে।
পরিকল্পনা কার্যকর না হলে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগ চলছে, পাশাপাশি আরও ১১টির আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘদিনের তদারকির ঘাটতি ও দুর্বল নিয়ন্ত্রণ এ সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
খেলাপি ঋণের ভয়াবহ চিত্র
২০২৫ সালের মার্চ শেষে দেশে বিতরণকৃত মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা খেলাপি, যা মোট ঋণের ২৪.১৩%।মাত্র তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা—যা ব্যাংক খাতের জন্য এক অশনিসংকেত।
বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সময়মতো কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পুরো ব্যাংকিং খাত ধসের মুখে পড়তে পারে। খেলাপি ঋণের জাল ছিন্ন করা, দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও রাজনৈতিক প্রভাব কমানো ছাড়া এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।
- এইমাত্র পাওয়া : নতুন ঘোষণা দিলেন সেনা প্রধান
- শুরু হতে যাচ্ছে বাহরাইন বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ, জানুন সময়সূচি
- "বৈধ ভিসা নিয়েও ফিরতে হচ্ছে বাংলাদেশিদের
- পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে এইমাত্র পাওয়া নতুন খবর
- ডাকসু জিএস প্রার্থী মাহিনের এনসিপি থেকে বহিষ্কার, ফেসবুকে দিলেন বিস্ফোরক মন্তব্য
- ভিসা কেলেঙ্কারি! বাতিল করা হলো ৬ হাজারের বেশি ভিসা
- এশিয়া কাপের দল ঘোষণায় সবাইকে তাক লাগালো ভারত
- ওমান প্রবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ: বন্ধ হচ্ছে ফ্লাইট
- বেড়েছে সিঙ্গাপুর ডলারের রেট, আজ ১৯/৮/২০২৫ তারিখ
- লাইভ করছিলেন বিএনপি নেতা, অত:পর ঘটে গেলো অবিশ্বাস্য ঘটনা
- ওমানি মুদ্রার আজকের রেট ( ১৯ আগস্ট )
- শক্তি বাড়াচ্ছে হারিকেন অ্যারিন, সরে যাওয়ার নির্দেশ
- “দ্য হান্ড্রেডে হ্যাটট্রিকের বিশ্বরেকর্ড : দেখেনিন সকল হ্যাটট্রিকের তালিকা
- ওমানে প্রবাসীদের বাসায় হঠাৎ অভিযান
- নেইমারকে ঘিরে আনচেলত্তির বিশ্বকাপ পরিকল্পনা: ব্রাজিল স্কোয়াডে বড় প্রত্যাবর্তন