
মো : খুরশেদ আলম
সিনিয়র রিপোর্টার
হঠাৎ ড: ইউনুসকে নিয়ে যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশজুড়ে চলমান রাজনৈতিক পালাবদলের প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া সংস্কারমূলক পদক্ষেপকে ‘ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারি। ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি ইউনূস সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আজহারি বলেন, “৩৬শে জুলাই বা ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। এই দিনে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ এক জুলুমের শাসনের অবসান ঘটে। এই ঘটনার পর দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় স্থিতিশীলতা ফেরানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে দেশের যে টালমাটাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তা অন্তর্বর্তী সরকার যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টাও লক্ষণীয়। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটি তারা করেছেন, সেটি হলো—সংস্কার। এই সংস্কার পদক্ষেপ বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত জরুরি ছিল।”
ড. আজহারি এ সময় কিছু সতর্কতাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় কোনো গুরুত্বপূর্ণ খাত উপেক্ষিত থেকে গেল কি না, সেটি খতিয়ে দেখা দরকার। তাছাড়া পূর্ববর্তী সময়ের বিতর্কিত এক বা একাধিক কমিশনের রিপোর্ট পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত। কারণ, একটি জাতির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও মূল্যবোধকে পাশ কাটিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া যায় না। সংস্কারের অভাবেই পূর্বে ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল, ভবিষ্যতে যেন তেমন কিছু না ঘটে—সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।”
নতুন প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক শুদ্ধতা ও প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতির ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “এই দেশ আর হানাহানি, বিভাজন কিংবা রাজনৈতিক সহিংসতা দেখতে চায় না। বিভক্তির রাজনীতি কখনওই কল্যাণ বয়ে আনে না। এখন সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। একটি স্থিতিশীল রাজনীতিক পরিবেশই দেশের অগ্রগতির মূল শক্তি হতে পারে।”
সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ শান্তিপ্রিয়, স্বাধীনচেতা। তারা বিশ্বাস করে প্রত্যেকে যেন নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মের সুযোগ পান, বৈষম্য ছাড়াই জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন। কোনো বিদেশি শক্তির তাঁবেদারি তারা চায় না। তারা চায় নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ জীবন।”
সবশেষে ড. আজহারি মহান আল্লাহর প্রতি প্রার্থনা জানিয়ে বলেন, “আমরা যেন একটি সৎ, ন্যায়পরায়ণ ও যোগ্য নেতৃত্ব লাভ করি, যেখানে দুর্নীতি, বৈষম্য ও দুঃশাসনের অবসান ঘটবে। আসুন, দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হই। এই ঐতিহাসিক সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে গড়ে তুলি একটি কল্যাণরাষ্ট্র হিসেবে—ইনশাআল্লাহ।”
- বাংলাদেশিদের জন্য চালু হলো নতুন ভিসা
- ক্লাব থেকে সাবেক সেনাপ্রধানের মরদেহ উদ্ধার
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশের প্রাথমিক দল ঘোষণা, বাদ পড়লেন যারা
- জিম করতে গিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটারের মৃত্যু, শোকস্তব্ধ ক্রিকেট জগৎ
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত
- ব্রেকিং নিউজ : দেশের সব ব্যাংকে ছুটি ঘোষণা
- হার্টের রিংয়ে রেকর্ড দাম কমালো সরকার, সর্বোচ্চ কমেছে ৮৮ হাজার টাকা
- এশিয়া কাপে বাংলাদেশের অধিনায়কের নাম ঘোষণা, দলে রয়েছে বড় চমক
- আগামী ১০ তারিখ থেকে ভারতীয় ভিসা ইস্যুতে আসছে বড় পরিবর্তন
- বেড়েছে আজকের সৌদি রিয়ালের রেট, জেনেনিন আজকের রেট
- ব্রাজিলে অবিশ্বাস্য রেকর্ড গড়লেন নেইমার
- আবার রাজপথে বিএনপি! দেশজুড়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সময়সূচি ঘোষণা করলো বিসিবি
- আজকের সোনা ও রুপার দাম জেনেনিন
- প্রকাশে এলো জুলাই ঘোষণাপত্রে যা যা আছে