মো : মারুফ হোসেন
সিনিয়র রিপোর্টার
চরম দু:সংবাদ : শাহজালাল বিমানবন্দরের বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর—দেশের প্রধান ও সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দর। প্রতিদিন হাজারো যাত্রী এই বন্দর দিয়ে যাতায়াত করেন। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাত্রীসংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে ফ্লাইট চলাচলের চাপও। অথচ এখনো একটি মাত্র রানওয়ের ওপরই নির্ভর করছে পুরো বিমানবন্দরের কার্যক্রম। এতে করে বাড়ছে ফ্লাইট বিলম্ব, যাত্রী ভোগান্তি এবং সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়—দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
বর্তমানে প্রতিদিন শাহজালাল বিমানবন্দরে গড়ে ২০০ থেকে ২৫০টি ফ্লাইট ওঠানামা করে। এসব ফ্লাইট পরিচালনা করছে ৩৬টি বিদেশি এয়ারলাইন্স, ৮টি কার্গো কোম্পানি, ৪টি দেশীয় এয়ারলাইন্সসহ মোট ১৩টি এভিয়েশন প্রতিষ্ঠান। একই রানওয়ে ব্যবহার করছে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানও। ফলে একাধিক ফ্লাইটকে অনেক সময় মাঝ আকাশে চক্কর দিতে হচ্ছে। আবার একটি ফ্লাইট অবতরণ করলে অন্যটি উড্ডয়নের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছে। বিশেষ করে কোনো ভিভিআইপি আগমনের সময় রানওয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হয়, এতে বাড়তি ফি গুনতে হচ্ছে এয়ারলাইন্সগুলোকে।
সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিষয়টি আরও গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া রানওয়ের উপর অতিরিক্ত চাপের কারণে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যাহত হচ্ছে। ট্যাক্সিওয়ে ও বিকল্প অবতরণ সুবিধার অভাবেও ঝুঁকি বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহেদুল আলম জানান, বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে বছরে প্রায় সাড়ে ১২ মিলিয়ন যাত্রী যাতায়াত করছেন। আগামী দশ বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। তখন ফ্লাইট সংখ্যাও দ্বিগুণ হবে, অথচ রানওয়ের সংখ্যা বাড়ছে না। তিনি বলেন, "এই এয়ারপোর্ট এখন আর ব্যবহার উপযোগী থাকছে না। এখন থেকেই নতুন বিমানবন্দর নির্মাণে হাত না দিলে আগামী ১৫ বছরের মধ্যে আমরা ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়ব।"
অন্যদিকে, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারে আধুনিক প্রযুক্তির অভাব এবং প্রশিক্ষিত জনবলের স্বল্পতাও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। সীমিতসংখ্যক এটিসি কর্মকর্তা এত ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছেন, বাড়ছে মানসিক চাপ ও ভুলের ঝুঁকি।
সরকার যদিও শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ করে এনেছে, তবুও এটি রানওয়ের চাপ কমাতে তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখবে না। তাই দ্বিতীয় রানওয়ের বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সব মিলিয়ে একটি মাত্র রানওয়ের ওপর নির্ভর করে চালানো দেশের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দর এখন এক চরম ঝুঁকির মুখে। অবিলম্বে বিকল্প রানওয়ের ব্যবস্থা ও বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন ছাড়া এর সমাধান নেই।
- "গোপন প্রশিক্ষণ কেলেঙ্কারি: সেনা কর্মকর্তা মেজর সাদিকের পরিচয় ফাঁস
- এনসিপির কমিটি ভাঙনের পথে, গুরুত্বপূর্ণ দুই নেতার পদত্যাগ
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য,জরুরি নির্দেশনা যা করতে হবে ১০ দিনের মধ্যে
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশ একাদশে ১৪ জন প্রায় চূড়ান্ত
- না খেলেই এশিয়া কাপে যাচ্ছে বাংলাদেশ
- আগামী ৩ বছর যে দলের হয়ে খেলতে চান মেসি
- মালয়েশিয়ান রিংগিতের সর্বশেষ রেট আজ ১/৮/২০২৫ তারিখ
- শাহবাগে টানা ২৮ ঘণ্টা জুলাই যোদ্ধাদের অবস্থান, নাকাল রাজধানীবাসী
- মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে ফিরল বাংলাদেশি কর্মীদের সুযোগ
- ত্রিদেশীয় সিরিজে হোঁচট খেলো বাংলাদেশ
- রাজধানীতে ভয়াবহ আগুন : আতঙ্কে ব্যবসায়ী ও পথচারীরা
- ইন্টার মায়ামি বনাম নেকাক্সা: জেনেনিন ম্যাচের সময়,লাইভ দেখার উপায়, ও ম্যাচ প্রেডিকশন
- ব্যর্থ বিসিবি, এশিয়া কাপে বড় সুযোগ হারাল বাংলাদেশ
- আজ শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, টিভিতে আজকের সকল খেলার সময়সূচি
- পাকিস্তান-আফগানিস্তান-আমিরাত ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ