দ্বিকক্ষ সংসদ: বাংলাদেশে সময়ের দাবি, না কি রাজনৈতিক বিতর্কের নতুন সূত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনায় এসেছে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের প্রস্তাব। দেশের বিদ্যমান এককক্ষীয় সংসদব্যবস্থার পরিবর্তে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ আইনসভা গঠনের প্রস্তাবকে কেউ গণতন্ত্রের গভীরীকরণ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বলছেন এটি রাজনৈতিক বিভাজন এবং প্রশাসনিক ব্যয় বৃদ্ধির রাস্তায় ধাবিত করবে।
দ্বিকক্ষ সংসদ: ধারণা ও কাঠামোদ্বিকক্ষ সংসদ বলতে বোঝায় এমন একটি আইন প্রণয়ন ব্যবস্থা, যেখানে দুটি পৃথক কক্ষ কাজ করে—
নিম্নকক্ষ (Lower House): জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এখানে থাকেন। আইন পাশ, বাজেট অনুমোদন, নীতিনির্ধারণ, এবং সরকার গঠনের প্রধান দায়িত্ব তাদের। বর্তমান বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ এই কাঠামোর প্রতিনিধিত্ব করে।
উচ্চকক্ষ (Upper House): এই কক্ষে সদস্যরা মনোনীত, সংরক্ষিত বা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। জাতীয় পর্যায়ের শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, পেশাজীবী, সংখ্যালঘু প্রতিনিধি ও অভিজ্ঞ প্রশাসকরা এখানে থাকতে পারেন। তাদের ভূমিকা আইন পুনর্বিবেচনা, নীতিমালা যাচাই ও উপদেশমূলক পর্যবেক্ষণ।
দ্বিকক্ষ সংসদের পক্ষে যেসব যুক্তি১. গণতান্ত্রিক ভারসাম্য:একককক্ষীয় ব্যবস্থায় কখনও কখনও সরকারি সংখ্যাগরিষ্ঠতা এককভাবে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে। উচ্চকক্ষ থাকলে আইনের উপর দ্বিতীয় স্তরের যাচাই সম্ভব হয়।
২. প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি:উচ্চকক্ষে সংখ্যালঘু, নারী, আদিবাসী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন জনগোষ্ঠীসহ প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো সম্ভব।
৩. বিশেষজ্ঞ মত যুক্ত হওয়া:নীতিনির্ধারণে অর্থনীতিবিদ, চিকিৎসক, প্রযুক্তিবিদ, এবং শিক্ষাবিদদের মতামত যুক্ত হলে সিদ্ধান্ত হবে আরও সময়োপযোগী ও টেকসই।
চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা১. সাংবিধানিক সংশোধনের বাধা:দ্বিকক্ষ সংসদ চালু করতে সংবিধানের ৭০ ধারাসহ বেশ কিছু মৌলিক ধারা সংশোধন করতে হবে, যা রাজনৈতিক ঐক্যমত্য ছাড়া সম্ভব নয়।
২. মনোনয়নে পক্ষপাতের আশঙ্কা:উচ্চকক্ষে সদস্য মনোনয়নে দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতি বা বিতর্কিত নিয়োগের সম্ভাবনা থাকলে এটি নিরপেক্ষতা হারাবে।
৩. ব্যয় ও প্রশাসনিক জটিলতা:নতুন একটি সংসদ কক্ষ মানে বিশাল অর্থ ব্যয়, অবকাঠামো নির্মাণ ও প্রশাসনিক জনবল বৃদ্ধি—যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
রাজনৈতিক অবস্থানবিরোধী দলগুলোর কেউ কেউ এই প্রস্তাবের পক্ষে কথা বললেও সরকার এখনো সরাসরি অবস্থান জানায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি বাস্তবায়ন করতে হলে জাতীয় সংলাপ, সুশীল সমাজের মতামত ও সাংবিধানিক কমিশনের মতামত জরুরি।
তাহলে কি বাংলাদেশে দ্বিকক্ষ সংসদ বাস্তবায়নযোগ্য?এটি নির্ভর করছে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, পারস্পরিক আস্থা ও বাস্তব কাঠামোর ওপর। সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে এটি হতে পারে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের নতুন অধ্যায়। আর ভুলভাবে বাস্তবায়িত হলে এটি হয়ে উঠবে আরেকটি ব্যয়বহুল, বিতর্কিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান।
- শোক সংবাদ : সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী
- বেতন বাড়লো সর্বোচ্চ : জেনেনিন কত টাকা বাড়লো বেতন
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য,জরুরি নির্দেশনা যা করতে হবে ১০ দিনের মধ্যে
- ঢাকা দখলের চেষ্টাই আ.লীগ
- ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনকারী দেশের নাম ঘোষণা
- চরম দু:সংবাদ : হঠাৎ বন্ধ হলো ভিসা
- চরম দু:সংবাদ : বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ফি দ্বিগুণ ঘোষণা
- বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে টানা পতন, দেশে কমেছে দাম
- জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে স্বস্তির খবর দিল সরকার
- দেশে স্বর্ণের দাম কমল, রুপা অপরিবর্তিত , জেনে নিন ৩১ জুলাইয়ের সর্বশেষ বাজারদর
- ইংল্যান্ড বনাম ভারত ৫ম টেস্ট : ভারতের স্কোর আপডেট
- মালয়েশিয়ান রিংগিতের সর্বশেষ রেট আজ ৩১ জুলাই ২০২৫
- টিভিতে আজকের খেলা (১ আগস্ট ২০২৫)
- আজকের (৩১ জুলাই) সিঙ্গাপুর ডলারের বাজারদর: সর্বোচ্চ রেট কোথায় পাওয়া যাচ্ছে
- বয়কট করলো ভারত : এশিয়া কাপ নিয়ে বাড়ছে উত্তেজনা