সাময়িক নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামী লীগের রাজনীতি, অন্তর্বর্তী সরকারের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত

গত বছরের জুলাই-অগাস্টের গণআন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সাময়িক নিষিদ্ধ করার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শনিবার রাত ৮টা থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় চলা উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত আসে।
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মূলত ৭৫ বছর বয়সী দলটির ওপর আনুষ্ঠানিকভাবে এক ধরনের রাজনৈতিক অবরোধ আরোপ হলো, যা স্বাধীনতা-পরবর্তী ইতিহাসে নজিরবিহীন।
আন্দোলনের পটভূমিগত দু’দিন ধরে শাহবাগ ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি)-এর নেতৃত্বে চলা ফ্যাসিবাদবিরোধী গণআন্দোলন, আওয়ামী লীগকে ‘গণহত্যাকারী দল’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করার একদফা দাবিতে অটল ছিল।
হাজারো মানুষ, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, ইসলামি দল, শ্রমিক সংগঠন ও নাগরিক মঞ্চ রাজপথে নামে, এবং ঘোষণা দেয়—
“আওয়ামী লীগকে যদি নিষিদ্ধ না করা হয়, তবে আমরা যমুনা ঘেরাও করব”।
আন্দোলনের এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষে বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে যাত্রা করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হয়ে যমুনার দিকে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক ও সিদ্ধান্তরাত ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টারা অংশ নেন। বৈঠক শেষে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়—
“আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলো।”
সরকারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ —
গণহত্যা, গুম, খুন, দুর্নীতি, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠাএবং
জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনের সময়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে তদন্ত চলবে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও বিচার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
আন্দোলনকারীদের প্রতিক্রিয়াবৈঠকের পরপরই ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে উপস্থিত এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন—
“এটি গণতন্ত্র ও জনগণের বিজয়। তবে এটি শেষ না। আমাদের দাবির পূর্ণ বাস্তবায়ন—আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে তালিকাভুক্ত করা ও দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করা—না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
প্রেক্ষাপট: কেন এই সিদ্ধান্ত?সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আচমকা থাইল্যান্ডে পালিয়ে যাওয়ার পর, রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা চরমে ওঠে।
এনসিপি ও অন্য দলগুলোর দাবি ছিল—“আওয়ামী লীগকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া যাবে না, কারণ তাদের হাতে রক্ত।”
পরবর্তী পদক্ষেপসরকার জানিয়েছে,
বিশেষ তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে।
সাময়িক নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই আওয়ামী লীগ নেতাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পুনর্গঠনের জন্য একটি নীতিমালা তৈরি হবে।
[বিস্তারিত আসছে...]
- দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পাল্টে গেলো বাংলাদেশের একাদশ, দুই পরিবর্তন
- ভারতের ৯৩ বছরের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ইতিহাস গড়লেন শুভমান গিল
- বাংলাদেশের ৪ দুর্ভাগা ক্রিকেটারের নাম বললেন সাকিব আল হাসান
- ব্রেকিং নিউজ: খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর
- জেনেনিন এলপিজি গ্যাসের নতুন দাম
- আবারও চমক! রেকর্ড ছাড়িয়ে বেড়ে গেল মালয়েশিয়ান রিংগিতের রেট (৪ জুলাই ২০২৫)
- বাড়লো আজকের মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট (৩ জুলাই ২০২৫)
- শ্রীলঙ্কা ছাড়ছেন বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্স, থাকছেন না দলের সাথে
- টানা ৩ দিনের ছুটি
- ক্রিকেটে ভেঙ্গে গেল ৫১ বছর ধরে অক্ষত থাকা সেই রেকর্ড
- সাইফউদ্দিনকে নিয়ে চমকে ভরা টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করলো বিসিবি
- গোলাম মাওলা রনির কড়া সমালোচনা করে যা বললেন প্রেসসচিব
- নিজের জীবন দিয়েও বড় ভাইকে বাঁচাতে পারলেন না ছোট ভাই
- আইসিসির নতুন র্যাঙ্কিং প্রকাশ, শীর্ষে একাদশের দুই ক্রিকেটার