ছুটি ও বেতন ইস্যুতে বড় সুখবর

কর্মজীবী নারী ও পুরুষদের জন্য ছুটি ও বেতনের ক্ষেত্রে দেশে আসতে যাচ্ছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। নারী অধিকার ও পরিবারবান্ধব নীতির অংশ হিসেবে সরকার পিতৃত্বকালীন ছুটির জন্য পূর্ণ বেতনে দুই সপ্তাহের ছুটি এবং বিশেষ ক্ষেত্রে মাতৃত্বকালীন ছুটি চারবার পর্যন্ত মঞ্জুর করার আইনি সুপারিশ গ্রহণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এই সুপারিশ সম্প্রতি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন কর্তৃক দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুপারিশপত্র হস্তান্তর করে কমিশন।
মূল সুপারিশগুলো কী কী?নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন ও সুপারিশে কর্মজীবী পিতা ও মায়েদের জন্য যেসব নতুন প্রস্তাব দিয়েছে, তা নিম্নরূপ:
✅ পিতৃত্বকালীন ছুটি:একজন পিতা যাতে সন্তানের জন্মের সময় পরিবারকে সময় দিতে পারেন, সে জন্য পূর্ণ বেতনে দুই সপ্তাহের ছুটি প্রস্তাব করা হয়েছে।
এটি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক করতে হবে, যেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এই ছুটি মান্য করে।
✅ মাতৃত্বকালীন ছুটি:বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নারী কর্মীরা দুই সন্তানের ক্ষেত্রে পূর্ণ বেতনে ছুটি পান।
নতুন সুপারিশ অনুযায়ী, বিশেষ পরিস্থিতিতে মাতৃত্বকালীন ছুটি চারবার পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।
মৃত সন্তান প্রসব, সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু, দ্বিতীয় বিয়েতে সন্তানের জন্ম, কিংবা দত্তক সন্তানের ক্ষেত্রেও এই ছুটি প্রযোজ্য হবে।
এই সুপারিশ কেন গুরুত্বপূর্ণ?বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবারবান্ধব নীতিমালা শুধু সামাজিক কল্যাণই নয়, কর্মস্থলে মানসিক স্বাস্থ্য ও উৎপাদনশীলতার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশে কর্মজীবী নারীরা প্রায়শই মাতৃত্বকালীন ছুটি নিতে গিয়ে চাকরি হারান কিংবা বেতনহীন ছুটিতে যেতে বাধ্য হন। পিতৃত্বকালীন ছুটির অভাবও পুরুষদের পরিবারে সক্রিয় ভূমিকা পালন থেকে বিরত রাখে।
কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে, দেশে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য কর্মক্ষেত্রে সমতা ও পরিবারে দায়িত্ব ভাগাভাগির পথ আরও মসৃণ হবে বলে মনে করছেন সমাজতাত্ত্বিকরা।
কমিশন গঠনের পেছনের প্রেক্ষাপট২০২৪ সালের নভেম্বরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরীন পারভীন হক-কে প্রধান করে গঠন করে ১০ সদস্যের নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন। এই কমিশনের কাজ ছিল নারীর অধিকার, নিরাপত্তা, কর্মক্ষেত্রে ন্যায্যতা ও পরিবারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছুটি ব্যবস্থার সুপারিশ তৈরি করা। মাসব্যাপী গবেষণা, মতামত সংগ্রহ ও পর্যালোচনার পর এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
পরবর্তী করণীয় কী?সরকার এখন কমিশনের সুপারিশগুলো খতিয়ে দেখে আইন প্রণয়নের প্রস্তুতি নেবে। আইনটি পাশ হলে সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে ছুটি ও বেতনের এই নতুন নীতিমালা কার্যকর হবে। এতে করে কর্মজীবী বাবা-মা উভয়েই পরিবার ও পেশার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবেন।
এই সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে এটি হবে বাংলাদেশের কর্মজীবী জনগণের জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, বিশেষ করে নারীর অধিকার ও পরিবারকেন্দ্রিক নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে এক বড় মাইলফলক।
- হাসপাতাল থেকে ফিরে ভক্তদের উদ্দেশে আবেগঘন বার্তা দিলেন মিশা সওদাগর
- ছাড়া পেয়ে মুখ খুললেন উপদেষ্টার মাথায় বোতল ছোড়া সেই ছাত্র
- ১ দিনের ব্যবধানেই মুস্তাফিজের আইপিএল খেলা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিলো বিসিবি
- নতুন বিপদে পড়েছেন ভারতে আশ্রয় নেওয়া আ. লীগ নেতারা
- আজ থেকে আইপিএল শুরুর কথা থাকলেও শুরু হলো নতুন জল্পনা
- এইমাত্র শেষ হলো বাংলাদেশবনাম নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ, জেনেনিন ফলাফল
- নতুন ঘোষণা দিয়েই দিলো তাসকিন
- মেয়ে কুমারী বা ভার্জিন কিনা যেভাবে বুঝবেন
- টাইগারদের ঘূর্ণিতে শেষ দক্ষিণ আফ্রিকা,বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য সিরিজ জয়
- প্রবাসীদের দেশে টাকা পাঠাতেও দিতে হবে ৫ শতাংশ কর
- কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায় যেসব ফল
- এসএসসি পরীক্ষার নম্বর বিভাজনে বড় পরিবর্তন
- ২-১ গোলে জিতে ফাইনালে বাংলাদেশ
- শিক্ষার্থীদের যে সকল দাবি মেনে নিল সরকার
- বড় দুঃসংবাদ পেল মুস্তাফিজের দিল্লি ক্যাপিটালস