প্রবাসী কর্মীদের জন্য সুখবর দিলো আরব আমিরাত

সংযুক্ত আরব আমিরাতে চাকরি পাওয়ার প্রক্রিয়া এখন আরও সহজ এবং দ্রুত। দেশটির মানবসম্পদ ও এমিরাটাইজেশন মন্ত্রণালয় (MOHRE) সম্প্রতি এক নতুন উদ্যোগ নিয়েছে, যার আওতায় বিদেশে অবস্থানরত কর্মীদের জন্য মাত্র চারটি ধাপ অনুসরণ করলেই মিলবে ওয়ার্ক পারমিট বা চাকরির অনুমতি। এই সেবা মূলত নিয়োগকর্তাদের জন্য চালু করা হয়েছে, যাতে তারা সহজে বিদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ করতে পারেন।
প্রথম ধাপে নিয়োগকর্তাকে ‘ইউএই পাস’ নামের একটি ডিজিটাল আইডির মাধ্যমে সিস্টেমে লগইন করতে হবে। এরপর নির্ধারিত অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। তৃতীয় ধাপে, আবেদনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য চলে যাবে। সবশেষে, যদি কাগজপত্র সঠিক থাকে এবং শর্ত পূরণ হয়, তাহলে অনুমতি প্রদান করা হবে। তবে কোনো তথ্য অসম্পূর্ণ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে তা জানিয়ে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হবে।
চাকরির জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র—যেমন সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডসহ রঙিন ছবি, কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদসহ পাসপোর্টের কপি এবং নিয়োগকর্তা ও কর্মীর স্বাক্ষরযুক্ত অফারপত্র। দক্ষ শ্রমিকদের জন্য অতিরিক্ত কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, যা অবশ্যই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্বারা প্রমাণীকৃত হতে হবে। স্কিল লেভেল অনুযায়ী প্রয়োজন হবে বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা উচ্চ মাধ্যমিক সনদ। তবে স্কিল লেভেল ৬ থেকে ৯-এর জন্য আলাদা করে সনদের দরকার নেই। মাসিক বেতন ৪ হাজার দিরহামের নিচে হলে, প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্মীকে “দক্ষ” হিসেবে বিবেচনা করা হবে না।
এছাড়া কিছু নির্দিষ্ট পেশার জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স থাকতে হবে। যেমন চিকিৎসকদের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের, শিক্ষকদের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা স্থানীয় শিক্ষা কর্তৃপক্ষের, আইনজীবীদের জন্য বিচার মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাক ও ইরানের নাগরিকদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের উভয় পাশের স্পষ্ট কপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আরও কিছু শর্তও রয়েছে—প্রতিষ্ঠানের বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে, কোনো আইনভঙ্গজনিত সাসপেনশন থাকা চলবে না, কর্মীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে এবং তার নামে আগে থেকে কোনো সক্রিয় ওয়ার্ক পারমিট থাকা যাবে না। পাশাপাশি আবেদনকারীকে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আইনগতভাবে স্বাক্ষরদানের অনুমোদন থাকতে হবে।
সবচেয়ে চমকপ্রদ দিক হলো—একই পদের ক্ষেত্রে জাতীয়তা পরিবর্তনের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ দুটি ওয়ার্ক পারমিট ছয় মাসের মধ্যে প্রতিস্থাপন করা যাবে। তবে আগের কর্মীর এন্ট্রি পারমিট অবশ্যই বাতিল করতে হবে।
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাইরে থেকেও দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকদের নিয়োগ এখন অনেক সহজ হয়েছে। এটি নিয়োগদাতাদের জন্য যেমন স্বস্তির, তেমনি চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে।
- হঠাৎ পাল্টে গেল রড-সিমেন্টের বাজার
- কনডম তৈরি হয় কোন প্রাণীর অঙ্গ থেকে, অনেকেই জানেন না এই চমকপ্রদ তথ্য
- চরম দু:সংবাদ : বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ
- দিল্লি ক্যাপিটালস ও গুজরাট টাইটানস: টস শেষ, জানুন একাদশে মুস্তাফিজের অবস্থান
- বউয়ের সাথে জমিয়ে রোমান্স করতে খান এই ৫টি খাবার
- একই হাসপাতালে ১৪ নার্স একসঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা, বিরল ঘটনায় চাঞ্চল্য বিশ্বজুড়ে
- বেড়েছে সিঙ্গাপুরের ডলার রেট, জেনেনিন আজকের রেট
- টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে মুস্তাফিজের বিশ্বরেকর্ড
- পাইলট ছাড়াই আকাশে বিমান, যেভাবে বাঁচলেন দুই শতাধিক যাত্রী
- শুধুমাত্র ট্রাম্পের জন্য মসজিদ বন্ধ করলো আরব আমিরাত
- মাঝ আকাশে দুই হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ, নিহত ৫
- ভিসা নিয়ে বাংলাদেশীদের জন্য সুখবর
- মালয়েশিয়া যেতে আগ্রহীদের জন্য বড় সুখবর, কর্মী নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি
- ওমানে প্রবাসী দম্পতির এ কেমন পরিণতি
- সাবিলা নূরকে নিয়ে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকা-তে শাকিব খান