মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে যা বললেন : তামিম

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাসায় ফিরেছেন তামিম ইকবাল। শুক্রবার (২৮ মার্চ) তাকে রিলিজ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিকেএসপিতে খেলতে গিয়ে গেল সোমবার (২৪ মার্চ) হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম ইকবাল। অসুস্থতার তীব্রতা দেখে দ্রুতই বিকেএসপির নিকটস্থ কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় তামিমকে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও এনজিওগ্রামের পর তামিমের হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। এরপর দ্রুততার সঙ্গে সফলভাবে তার হার্টে রিং পরানো হয়। ২৬ মার্চ সাভার থেকে ঢাকায় আনা হয় তামিমকে। ভর্তি করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে।
সেখানেই চলছিল তার চিকিৎসা। অবশেষে সেখান থেকে শুক্রবার বাসায় ফিরলেন তিনি। বাসায় ফিরে এক ফেসবুক পোস্টে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তামিম।
শুক্রবার দিবাগত রাতে দেওয়া পোস্টে তামিম ইকবাল লিখেছেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর রহমতে এখন আমি বাসায়।
উথালপাথাল এই চারটি দিনে নতুন জীবন যেমন পেয়েছি, তেমনি আমার চারপাশকে আবিষ্কার করেছি নতুন করে। সেই উপলব্ধির সবটুকুতে মিশে আছে কেবল ভালোলাগা ও কৃতজ্ঞতা। আপনাদের সবার ভালোবাসার ছোঁয়া ক্যারিয়ারজুড়ে নানা সময়ই পেয়েছি। তবে এবার তা অনভুব করতে পেরেছি আরও তীব্রভাবে। আমি সত্যিই আপ্লুত।
বিকেএসপিতে অসুস্থতার শুরু থেকে যাদের পাশে পেয়েছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘বিকেএসপিতে আমার অসুস্থতার শুরু থেকেই অনেককে পাশে পেয়েছি তাৎক্ষণিকভাবে। ম্যাচ রেফারি দেবু দা (দেবব্রত পাল), বিকেএসপির চিকিৎসকরা এবং আরও যারা তখন ছিলেন সেখানে, অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার যে ভাই আমাকে দ্রুতগতিতে নিয়ে গেছেন হাসপাতালে, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমাদের ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী ডালিম ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাব কীভাবে, আমার আসলে জানা নেই। আমি পরে জেনেছি, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন যে, ডালিম ভাই ওই সময় সঠিকভাবে সিপিআর না দিলে হয়তো আমাকে বাঁচানো যেত না। উপযুক্ত মানুষকে উপযুক্ত সময়ে আমার পাশে রেখে আল্লাহ আমাকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়েছেন।’
মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনার কথা ছিল তামিমকে। শেষমেশ পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সাভারের কেপিজে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার ডাক্তারদের নিয়ে তামিম বলেন, ‘কেপিজে হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ ও তার দক্ষ চিকিৎসক দল তাদের পেশাদারিত্ব আর আন্তরিকতার মিশেলে যেভাবে দ্রুততায় চিকিৎসা করেছেন, আমাদের দেশের চিকিৎসকদের মান ও কার্যকারিতাই ফুটে উঠেছে তাতে। আমি পরে শুনেছি যে, দেশের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডা. মারুফ ও তার দল মিরাকল ঘটিয়েছেন। গোটা চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় কেপিজে হাসপাতালের চিকিৎসক, সেবিকা থেকে শুরু করে যারা যে কোনোভাবে যতটুকু সম্পৃক্ত ছিলেন, সবাইকে হৃদয়ে লালন করব আজীবন। এই হাসপাতালে যতটুকু সময় ছিলাম, তাদের হৃদ্যতার পরশ অনুভব করে যাব সবসময়। ঢাকা শহরের বাইরে ওই এলাকায় এতটা উঁচু মানের হাসপাতাল আছে, এতটা কুশলী চিকিৎসক দল ও স্টাফরা আছেন, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার এগিয়ে চলার একটি প্রমাণ এটি। দেশজুড়ে নানা জায়গায় এর কাছাকাছি মানের হাসপাতাল যদি আরও কিছু থাকে, আমার মতো আরও অনেক মানুষের প্রাণ রক্ষা পেতে পারে।'
তামিম আরও বলেন, ‘ধন্যবাদের তালিকা আসলে শেষ হওয়ার নয়। আরও অনেকেই নানাভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন, অনেকের কথা জানি, অনেকের কথা হয়তো জানি না। এতটুকু জানি, ধন্যবাদ পাওয়ার আশায় তারা কিছু করেননি। আমি তাদের ভালোবাসার ঋণে আবদ্ধ সারা জীবনের জন্য। পুরোপুরি সেরে ওঠার পথ এখনও দীর্ঘ। আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রার্থনায় রাখবেন। সবার জীবন সুন্দর ও শান্তিময় হোক। ভালোবাসা সবার জন্য।’
- এবার বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফেরার সময় সর্বোচ্চ যতটি স্মার্টফোন আনতে পারবেন প্রবাসীরা
- ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা : পাকিস্তানকে যে ঘোষণা দিলো চীন
- পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ , ৫৪ জনের মৃত্যু
- ভারতের জন্য নতুন দু:সংবাদ : বাংলাদেশে চালু হচ্ছে আরও ৭টি
- কয়েক মিনিটের কালবৈশাখীতে লন্ডভন্ড পুরো জেলা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে
- বড় সুখবর দেশি পেঁয়াজের দাম নিয়ে
- পিএসএলে দুঃসংবাদ নেমে এলো রিশাদের জীবনে, একি বললেন শাহীন শাহ আফ্রিদি
- ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাস্যকর কান্ড, নিজেরাই ধংস করলো নিজের এলাকা
- মেয়েদের ইচ্ছা সপ্তাহের কোন দিনে সবচেয়ে তীব্র হয়, জেনে নিন চমকপ্রদ তথ্য
- পাসপোর্ট ইস্যুতে আসছে বড় পরিবর্তন, মিলবে সুখবর
- ভারতের ঘুম হারাম করে ছাড়লো ড. ইউনূস
- চলন্ত প্রাইভেটকার থেকে নারীর ভ্যানিটিব্যাগে টান, অতঃপর যা ঘটলো
- ৩ দিন বৃষ্টি হতে পারে যে ৬ বিভাগে
- শোকের ছায়া : মাত্র ২৪ বছর বয়সেই চলে গেলেন জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর
- সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস