শিলাবৃষ্টি, কালবৈশাখী ও ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা

ফাল্গুনের শেষ প্রান্তে এসে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে ভ্যাপসা গরমের তীব্রতা বাড়ছে, যা আসন্ন গ্রীষ্মের ইঙ্গিত দিচ্ছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি এবং তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি: মার্চ থেকে মে পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সময়
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী তিন মাসে অন্তত ৮ দিন বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল এবং পূর্বাঞ্চলে এসব ঝড় বেশি দেখা যেতে পারে। শিলাবৃষ্টির মাত্রা কোথাও হালকা হলেও, কিছু অঞ্চলে এর তীব্রতা ভয়াবহ হতে পারে, যা কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
কালবৈশাখী ঝড়: ২ থেকে ৩ দিন তীব্র ঝড়ের আশঙ্কা
এ সময়ের মধ্যে ২ থেকে ৩ দিন কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে, এপ্রিল মাসে কালবৈশাখীর প্রকোপ বেশি দেখা যায়। কালবৈশাখীর সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে, যা স্থানীয়ভাবে গাছপালা উপড়ে ফেলা, বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত করার মতো ঘটনা ঘটাতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা
আবহাওয়াবিদদের মতে, মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ২-৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে এবং পরবর্তীতে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদি এটি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে, তবে উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে প্রবল বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া এবং জলোচ্ছ্বাস দেখা দিতে পারে। এর ফলে উপকূলীয় এলাকার জনগণকে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
তাপপ্রবাহ: ৪-৭টি তীব্র গরমের ঢেউ
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আসন্ন তিন মাসে ৪ থেকে ৭টি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
মৃদু তাপপ্রবাহ: ৩৬-৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস
মাঝারি তাপপ্রবাহ: ৩৮-৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস
তীব্র তাপপ্রবাহ: ৪০-৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র গরমের কারণে হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে পর্যাপ্ত পানি পান, হালকা খাবার গ্রহণ এবং সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
কৃষি ও সাধারণ জীবনে প্রভাব
১. কৃষিক্ষেত্রে প্রভাব:
শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসলের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের কারণে সেচ নির্ভর ফসলের ফলন কমে যেতে পারে।
অতিরিক্ত তাপমাত্রা সবজি ও ফলমূলের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সাধারণ জনজীবনে প্রভাব:
তীব্র গরমে কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
ঝড়ের কারণে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা বাড়তে পারে।
প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা
১. কালবৈশাখী ও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় করণীয়:
আবহাওয়া পূর্বাভাস নিয়মিত অনুসরণ করা।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সময় নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা।
উপকূলীয় এলাকায় জরুরি খাদ্য ও পানির মজুত রাখা।
গাছপালা ও দুর্বল কাঠামো শক্তিশালী করা।
২. তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে করণীয়:
পর্যাপ্ত পানি পান করা ও শরীর আর্দ্র রাখা।
প্রয়োজন ছাড়া রোদে বের না হওয়া।
শিশু ও বৃদ্ধদের বিশেষ যত্ন নেওয়া।
- দেশে একলাফে কমলো স্বর্ণের দাম, জেনেনিন নতুন দাম
- সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর, যে প্রজ্ঞাপন জারি করল অর্থ মন্ত্রণালয়
- হঠাৎ পাল্টে গেলো পেঁয়াজের বাজার
- আপনার যেসব বদঅভ্যাসের কারণেই কমে যাচ্ছে শারীরিক মিলনের চাহিদা
- পাকিস্তানে শক্তিশালী বো.মা বি.স্ফো.র.ণে নিহত.....
- এবার যে ভবিষ্যদ্বাণী স্বর্ণের দাম নিয়ে
- কমলো সয়াবিন তেলের দাম, যা তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- হাসানত আব্দুল্লাহর চমকপ্রদ ঘোষণা: জানালেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম
- স্বর্ণের দাম কমলো, রেকর্ড উচ্চতা থেকে হঠাৎ পতন
- রোমান্সের দৃশ্য ভরপুর, মুহুর্তেই ভাইরাল ভিডিও
- চার ছক্কার ঝড় তুলে শেষ হলো বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ,জেনেনিন ফলাফল
- রাতের মধ্যে যেসব জেলায় সর্বোচ্চ ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের শঙ্কা
- এবার ফাঁস হলো নরেন্দ্র মোদির যে তথ্য, বিপদে ভারত
- আরও কমলো ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম
- অবৈধ প্রবাসীদের জন্য দারুন সুখবর : খুলে গেলো ভাগ্য