বাংলাদেশ ভারত ম্যাচ: এক ইনিংসে ছয় বিশ্ব রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচেই ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ ও ভারত। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচের এক ইনিংসেই ছয়টি উল্লেখযোগ্য রেকর্ডের জন্ম হয়েছে। ব্যাটিং ও বোলিংয়ের নানা দিক থেকে দুই দলই ক্রিকেটের পরিসংখ্যানে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।ক্রিকেট বই
মাঠে গড়া ছয়টি স্মরণীয় রেকর্ড:
১. ওয়ানডের দ্রুততম ২০০ উইকেট—শামির কীর্তি
ভারতের তারকা পেসার মোহাম্মদ শামি ওয়ানডেতে দ্রুততম ২০০ উইকেট নেওয়ার নতুন রেকর্ড গড়েছেন। মাত্র ৫১২৬ বল খরচ করে তিনি এই মাইলফলকে পৌঁছান, যা আগের রেকর্ডধারী মিচেল স্টার্কের চেয়ে দ্রুত (৫২৪০ বল)। তবে ম্যাচের হিসেবে স্টার্কই এগিয়ে থাকবেন, কারণ তিনি ১০২তম ম্যাচে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন, যেখানে শামির লেগেছে ১০৪টি ম্যাচ।
২. ক্যাচিং দক্ষতায় কোহলির অনন্য সংযোজন
ভারতের অন্যতম সেরা ফিল্ডার বিরাট কোহলি ওয়ানডেতে ১৫৬টি ক্যাচ নিয়ে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের রেকর্ড ছুঁয়েছেন। ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নেওয়ার তালিকায় এখন তারা যৌথভাবে শীর্ষে। বিশ্ব ক্রিকেটে এই তালিকায় কেবল মাহেলা জয়াবর্ধনে (২১৮) ও রিকি পন্টিং (১৬০) কোহলির চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।
৩. কুলদীপের অবিশ্বাস্য ৫৪৭৬ বল পর প্রথম ফ্রন্ট-ফুট নো বল
ভারতের স্পিনার কুলদীপ যাদব নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম ফ্রন্ট-ফুট নো বল করেন বাংলাদেশের বিপক্ষে, যা ক্রিকেটপ্রেমীদের অবাক করেছে। ১০৮ ম্যাচ ও ৫৪৭৬ বল করার পর এটি তার প্রথম ফ্রন্ট-ফুট নো বল, যা নিঃসন্দেহে বিরল ঘটনা।
৪. মিডল ওভারে উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা মিডল ওভারে (১১-৪০) অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন। ২০০২ সালের পর মাত্র পঞ্চমবারের মতো ভারত এই ৩০ ওভারে কোনো উইকেট নিতে পারেনি। একইসঙ্গে, বাংলাদেশও মাত্র পঞ্চমবারের মতো মিডল ওভার পার করেছে উইকেট না হারিয়ে। যদিও ভারত তাদের এই সময়ে ১২৬ রানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে।
৫. হৃদয়-জাকেরের রেকর্ড গড়া পার্টনারশিপ
বাংলাদেশের তরুণ ব্যাটার তৌহিদ হৃদয় ও জাকের আলী ষষ্ঠ উইকেটে ১৫৪ রানের জুটি গড়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। এটি ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ, পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাসেরও সর্বোচ্চ ষষ্ঠ উইকেট জুটি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসেও ষষ্ঠ উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ।
৬. রোহিত শর্মার ক্যাচ হাতছাড়ার তালিকায় শীর্ষস্থানে ওঠা
ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা ক্যাচ হাতছাড়ার দিক থেকে এবার শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছেন। ২০২৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনি ১০টি ক্যাচ ফেলেছেন। নিউজিল্যান্ডের টম ল্যাথাম (১১) কেবল তার চেয়ে বেশি ক্যাচ ফেলেছেন। এই সময়ে রোহিত ২২টি ক্যাচিং সুযোগ পেয়েছেন, যার মধ্যে ১২টি ক্যাচ নিতে পেরেছেন, সফলতার হার মাত্র ৫৪.৫৫%। এটি ২০২৩ সাল থেকে ২০ বা তার বেশি ক্যাচিং সুযোগ পাওয়া ২৬ জন ফিল্ডারের মধ্যে সবচেয়ে কম সফলতার হার।
ম্যাচটি শুধুই প্রতিযোগিতামূলক ছিল না, এটি ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায় নতুন কিছু সংযোজনও করেছে। বাংলাদেশের ব্যাটিং দৃঢ়তা, ভারতের বোলিং নৈপুণ্য ও ফিল্ডিংয়ের চ্যালেঞ্জ সব মিলিয়ে ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে।
- বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসব
- অবশেষে ৭৫ লাখ রুপিতে দল : বড় খবর এলো আইপিএল থেকে খুশি হবেন মুস্তাফিজ
- পটকা মাছ এক রাতেই ধ্বংস করে দিলো পুরো পরিবার
- যে কারণে হারিয়ে যেতে পারে আওয়ামী লীগ,বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
- রাতে ভ্রমণের সময় প্রয়োজনীয় সতর্কতা যেভাবে নিরাপদে থাকবেন
- কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যা বলতে বলতে কাঁদলেন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান
- তারাবির সময় মসজিদে হামলা, ঘটনা ঘটলো পুলিশের সামনেই
- সৌদিতে উঠবে ঈদের চাঁদ, আকাশে থাকবে ৮ মিনিট
- ৪২ হাজার কুয়েত প্রবাসীর কপাল পুড়লো
- ৬২ বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক, রেকর্ডবুকে তোলপাড়
- স্বর্ণের ভরি কমলো, নতুন মূল্য নির্ধারণ
- বেড়ে গেলো মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট
- সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিশাল সুখবর দিলো কুয়েত সরকার
- ৭ তারিখের মধ্যে সুখবর পাচ্ছেন নাসির হোসেন
- বাংলাদেশ ফুটবলের নতুন অ্যাওয়ে জার্সি, দাম ও ডিজাইন নিয়ে বিস্তারিত