মালয়েশিয়া গত ৩ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে সেলাঙ্গর এবং জোহর রাজ্যে একযোগভাবে পরিচালিত দুটি অভিযানে ১৩৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে। আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন দেশের নাগরিক।

৩ জানুয়ারি রাতে সেলাঙ্গরের আমপাং এলাকার একটি শপিং সেন্টারে 'অপ কুটিপ' নামে বিশেষ অভিযান চালানো হয়, যেখানে ৯২ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়। সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক খায়রুল আমিনুস কামারউদ্দিন জানিয়েছেন, আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশি, ইন্দোনেশীয়, আফগান, পাকিস্তানি, নেপালি, থাই, মিয়ানমারসহ আরও নানা দেশের নাগরিক রয়েছেন।

একই দিনে জোহর রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়। জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক দাতুক মোহাম্মদ রুশদি মোহদ দারুস জানান, মুয়ার, সেগামাট, মেরসিং এবং বাতু পাহাত এলাকার শ্রমিকদের ডরমিটরিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এসব এলাকার বিভিন্ন শাখা থেকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান এবং নেপালের নাগরিকদের।

সেলাঙ্গরের অভিযানে আটক ৯২ জনের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ৩১, বাংলাদেশের ১৬, আফগানিস্তানের ১০, পাকিস্তানের ৮, নেপালের ৪, থাইল্যান্ডের ৪, মিয়ানমারের ৩, অস্ট্রেলিয়ার ৩, ভারতের ৩, ফিলিপাইনের ২, ইউরোপীয় দেশগুলোর ৫ এবং আফ্রিকান দেশগুলোর ৩ নাগরিক রয়েছেন।

জোহর রাজ্যে, ৪৬ জনের মধ্যে ভারতের ৪, মিয়ানমারের ১৭ (১৫ পুরুষ, ২ নারী), থাইল্যান্ডের ৭ (৩ পুরুষ, ৪ নারী), বাংলাদেশের ৫, ইন্দোনেশিয়ার ৭, পাকিস্তানের ২ এবং নেপালের ৪ নাগরিক আটক হয়েছেন।

এ সব অভিযান ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। আটককৃতদের সেলাঙ্গর এবং জোহরের ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট অফিসে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চালানো হচ্ছে।

২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে, যা গত বছরের ডিসেম্বর শেষে সাধারণ ক্ষমা ও স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরই শুরু হয়। ১ জানুয়ারি থেকে ৩ জানুয়ারির মধ্যে তিন রাজ্যে অভিযান চালিয়ে ২৮৪ জনকে আটক করা হয়, ফলে মোট আটকের সংখ্যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৪২২ জনে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে এবং আগামীতে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।