ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫ জন। দুর্ঘটনাগুলো ঘটে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টায় নিমতলা এলাকায় এবং শুক্রবার ভোর ৪টায় হাসাড়া এলাকায়।

বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে নিমতলা এলাকায় একটি কাভার্ডভ্যানের পেছনে মাওয়ামুখী আব্দুল্লাহ পরিবহনের একটি মিনিবাস ধাক্কা দেয়। এতে মিনিবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন মিনিবাসের হেলপার মো. জীবন (৪৪)। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কল্লিগাও গ্রামে। একই দুর্ঘটনায় মারা যান বাসযাত্রী মো. রায়হান (২৭), যিনি সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের দেবিপুরা গ্রামের বাসিন্দা।

শুক্রবার ভোর ৪টায় হাসাড়া এলাকায় আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন আরও ২ জন। তবে তাদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহত দুই ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৩৫ ও ২৫ বছর হতে পারে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা।

এ দুই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ক্যামিলায়া সরকার। তিনি জানান, "রাতের দুর্ঘটনায় নিহত দুইজনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়। পরে ভোরের দুর্ঘটনায় নিহত আরও দুইজনের মরদেহ আমাদের কাছে আনা হয়। আহতদের চিকিৎসা চলছে।"

হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে অতিরিক্ত গতি এবং চালকদের অসতর্কতা এ দুর্ঘটনাগুলোর কারণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সড়ক দুর্ঘটনার এই মর্মান্তিক ঘটনাগুলো ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং চালকদের সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুর্ঘটনাগুলো রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।