জলে গেলো দেশের ও জনগনের ২০০ কোটি টাকা
ঢাকা শহরের ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ আর অব্যবস্থার কথা এবার নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে। বহু প্রকল্প গ্রহণের পরও কার্যত কোনো উন্নতি না হওয়ায়, এবার স্থানীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরও কার্যকরী একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর এই প্রকল্পের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। প্রকল্পটি শুরু করার উদ্দেশ্যে বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে দুটি বৈঠকও করেছেন।
আগের বহু প্রকল্পে ২০০ কোটি টাকা, বিশ বছরের সময় ও প্রচুর শ্রম বিনিয়োগের পরও রাজধানীর সিগন্যাল বাতিগুলোর কার্যকারিতা ছিল না, অথচ ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সিগন্যাল ব্যবস্থা টানা ২৪-২৫ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে কার্যকর। এর জন্য নগরবাসীর ক্ষোভ ও হতাশা বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ নগরপিতা বা সিটি করপোরেশন বারবার পাল্টালেও কোনো কার্যকরী উন্নয়ন লক্ষ্য করা যায়নি। তবে এবার স্থানীয় প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি প্রকল্পটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশাবাদী যে, সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসবে।
সূত্র জানায়, রাজধানীর সড়কে ট্রাফিক সামলাতে সিগন্যাল বাতির ব্যবহার শুরু হয় ২০০১ সালে। ওই বছর ৭০টি ইন্টারসেকশনে ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হয়।
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই ব্যবস্থা এক বছরও টেকেনি। রাজধানীতে ১১০টি পয়েন্টে বসানো হয়েছিল সিগন্যাল বাতি। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ২০১২ সালে ‘ক্লিন এয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট’ (কেস) প্রকল্পের আওতায় ফের ২৯টি ইন্টারসেকশনে ১১২ কোটি টাকা ব্যয়ে বসানো হয় সিগন্যাল বাতি। আর প্রায় ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রিমোট ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ আমদানি করা হয়। দুই বছর পর ২০১৪ সালে নেওয়া হয় নতুন উদ্যোগ। তবে ওই ব্যবস্থা চালুর কিছুদিন পরই মুখ থুবড়ে পড়ে।
রাজধানীর চারটি ইন্টারসেকশনে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থা স্থাপনে আরেকটি উদ্যোগ নিয়েছিল ডিটিসিএ। ২০১৬ সালের শুরুতে এর ব্যয় ধরা হয় ৩৭ কোটি টাকা, পরে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৫২ কোটি টাকায়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকার রাজধানীর ৪৩টি ট্রাফিক সিগন্যাল সচল করতে কেস প্রকল্পের আওতায় উদ্যোগ নিয়েছিল, যা শেষ হয় ২০২০ সালের মার্চে। ওই প্রকল্প শেষ হওয়ার পর গুলশান-২-এ একটি সিগন্যাল বাতি ছাড়া আর কোথাও কোনো বাতি জ্বলে না। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে অন্তত ২০০ কোটি টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিগন্যাল লাইট নিয়ে শুরু থেকেই সিটি করপোরেশন ও পুলিশের মধ্যে টানাপড়েন ছিল। সিটি করপোরেশন প্রকল্প নেওয়া ছাড়া অন্য কিছুতে আগ্রহ না থাকায় কোটি কোটি টাকা খরচ করেও সফল হয়নি। এরই এক পর্যায়ে বিশেষজ্ঞরা পুরো সিস্টেম পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন সরকারকে। কিন্তু সেটিও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের কারণে সফল হয়নি।
এ বিষয়ে পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক শামছুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ট্রাফিক ব্যবস্থার সঙ্গে যেহেতু ট্রাফিক পুলিশ জড়িত, এ কারণে সিগন্যাল লাইটের পুরো দায়িত্ব পুলিশকে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। সেটি অনেক দূর এগিয়েছিল।
পরবর্তী সময়ে সেটি থেমে যায়।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশেষজ্ঞরা ২০১৯ সালের শুরুর দিকে রাজধানীর ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা পুলিশের তত্ত্বাবধানে দেওয়ার প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠান। প্রস্তাবটির পর্যালোচনা পর্যায়ে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র নির্বাচিত হন আতিকুল ইসলাম। তিনি ওই উদ্যোগ বন্ধ করে দায়িত্বটি সিটি করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণে রেখে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করেন।
এই পরিস্থিতিতে যানজটে স্থবির ট্রাফিক জট কমাতে রাজধানীর ২২টি মোড়ে স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ‘ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা’ শিরোনামের প্রকল্পটির দ্বিতীয় বৈঠক হয়েছে গত সোমবার। তবে এই প্রকল্পে শতকোটি টাকার বিলাসী ব্যয় না করে ব্যয় ধরা হয়েছে মাত্র ১০ কোটি টাকা। এ তথ্য জানান প্রকল্পটির সঙ্গে জড়িত পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন।
তিনি জানান, রাজধানীতে দেশীয় প্রযুক্তিতে বুয়েটের তৈরি ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করা হবে। এবারও দুই সিটি করপোরেশন দায়িত্বে থাকলেও সিগন্যাল বাতি চালুর পর যাতে তিন শিফটে নিয়মিত কাজ করা হয় তার জন্য বুয়েট থেকে পুলিশের সঙ্গে অভিজ্ঞ লোক কাজ করবেন। ফলে সিগন্যাল বাতি বন্ধ হওয়ার আর কোনো আশঙ্কা নেই।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার ধ্রুব আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ সিগন্যাল সমন্বয়ের কাজ করলেও সিটি করপোরেশনই বিষয়টি দেখভাল করে।’
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নাজমুল হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এবার ভালো ফলের আশা করছি। কারণ সিটি করপোরেশন, পুলিশ, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ ও বুয়েট—এই চারটি প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব পালন করবে।’
প্রকল্পটি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সিগন্যাল লাইটের একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশন থেকে অর্থায়ন করা হবে। আমি আশাবাদী, যানবাহন নিয়ন্ত্রণে এবারের ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি ভালোভাবে কাজ করবে।’
- IPL রিটেন শেষে, মুস্তাফিজকে অনেক বড় পুরস্কার দিল চেন্নাই সুপার কিংস
- মিরাজ বা মাহমুদুল্লাহ নয় চমক দিয়ে বাংলাদেশের নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের নাম ঘোষণা
- IPL 2025 : দল পেলেন ৪৬ জন ক্রিকেটার, দেখেনিন সাকিব ও মুস্তাফিজের অবস্থান
- IPL নিলাম: মুস্তাফিজ ৫ কোটি, দেখেনিন সাইফউদ্দিনের অবস্থান
- সেমি ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ, দেখেনিন সময়
- সোনার দাম ভেঙ্গে দিলো অতীতের সকল রেকর্ড,আগামীকাল থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে
- শেষ হলো বিসিবির বৈঠক : বাংলাদেশের নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করলো বিসিবি
- একটু পরেই শক্তিশালী একাদশ নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে মাঠে নামছে বাংলাদেশ দেখেনিন ম্যাচ শুরুর সময়
- ipl 2025 : আইপিএলে ৫ কোটিতে যে দলে যাচ্ছেন মুস্তাফিজ
- আজ ১/১১/২০২৪ তারিখ, দেখেনিন আজকের ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- অবিশ্বাস্য চমক দিয়ে বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টেস্টের অধিনায়কের নাম চূড়ান্ত করলো বিসিবি
- অবৈধ প্রবাসীদের সাধারণ ক্ষমার সময় বাড়ানো হলো
- ৩ দিন কমার পর হঠাৎ করেই বেড়ে গেলো সৌদি রিয়াল রেট, দেখেনিন আজকের রেট কত
- চরম দু:সংবাদ : আর্জেন্টিনায় নেমে এলো শোকের ছাঁয়া,মূহুর্তেই ধংস হয়ে গেলো সবকিছু
- ২ দিন কমার পর একলাফে বেড়ে গেলো মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট, দেখেনিন আজকের রেট কত