| ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

রাজশাহী শহরের বাহারি লাইট এখন মাথার বোঝা

জাতীয় ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০২৪ অক্টোবর ০৮ ০৭:২৮:২৮
রাজশাহী শহরের বাহারি লাইট এখন মাথার বোঝা

রাজশাহীর কল্পনা মোড় থেকে তালাইমারি সড়কের দুই কিলোমিটার সড়কে স্থাপিত ১৩০টি সড়কবাতির পোল এবং রাজমুকুটের আদলে তৈরি বাতি প্রথমদিকে নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করলেও, এখন তা সিটি করপোরেশনের জন্য আর্থিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি ১৫ মিটার পরপর স্থাপিত পোলগুলো এবং প্রতিটি পোলে ১৩টি করে বাতির ব্যবহারে বিদ্যুৎ খরচ বহুগুণে বেড়ে গেছে।

এছাড়াও, নগরীর প্রধান সড়কগুলিতে ব্যয়বহুল সড়কবাতির পাশাপাশি ১৭টি মোড় ও চত্বরে ১৮টি সুউচ্চ হাই মাস্ট পোল এবং ফ্লাডলাইট রয়েছে, যা বিদ্যুৎ ব্যবহারের খরচ আরও বাড়িয়েছে। এর ফলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া প্রায় ৪২ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। তার ওপর প্রতি সপ্তাহেই একেকটি পোলে বাতি নষ্ট হওয়ার কারণে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচও বাড়ছে।

এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিটি করপোরেশন সৌন্দর্য এবং নিরাপত্তা বজায় রেখে কম সংখ্যক বাতি জ্বালানোর পরিকল্পনা করছে, যাতে বিদ্যুৎ খরচ কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব হয়।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবির বিদ্যুৎ বিল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নেসকোর কাছে প্রায় ৪২ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে, যা পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সড়কবাতির অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারের ফলে খরচ বেড়ে যাওয়ায়, কম সংখ্যক বাতি জ্বালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, সৌন্দর্য ও নিরাপত্তা বজায় রেখে সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রকৌশল বিভাগের কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। কীভাবে কম বাতি জ্বালিয়ে খরচ কমানো যায়। এছাড়া এর বিকল্প পরিকল্পনাও চাওয়া হয়েছে। এদিকে, নগরবাসীর অভিযোগ, সৌন্দর্যবর্ধক রাজমুকুট বাতিগুলো স্থাপনের পর থেকেই ঘন ঘন নষ্ট হয়ে যাবার ঘটনা ঘটে চলেছে। বর্তমানে প্রতিটি পোলে গড়ে ৩ থেকে ৫টি করে বাতি জ্বলে না।

এদিকে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, প্রায় প্রতিনিয়তই লাইট নষ্ট হচ্ছে। আবার লাগানো হচ্ছে কয়দিন পরেই সেটি পুনরায় নষ্ট হচ্ছে। এসব প্রকল্পে বড় ধরনের দুর্নীতি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এসব বাতি স্থাপনের ফাইলগুলো খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবির বলেন, যেসব ঠিকাদার এসব কাজ করেছে তাদের ফাইল আমাদের কাছে আছে। তাদের পারফরম্যান্স গ্যারান্টি আমাদের কাছে আছে। এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সড়ক বাতি স্থাপনে দুর্নীতির অভিযোগ প্রথমবারের মতো আলোচনায় আসে। তৎকালীন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিংকে সরবরাহকৃত বাতির বিপরীতে বাজারমূল্যের চেয়ে প্রায় ৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত পরিশোধের এই অভিযোগ এখনও দুদকের তদন্তাধীন।

ক্রিকেট

শেষ হলো টস : জেনেনিন বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের একাদশ

শেষ হলো টস : জেনেনিন বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের একাদশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ (২৮ এপ্রিল) শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ের মধ্যে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ, যা ...

চার ছক্কার ঝড় তুলে শেষ হলো বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ,জেনেনিন ফলাফল

চার ছক্কার ঝড় তুলে শেষ হলো বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ,জেনেনিন ফলাফল

হার দিয়ে শ্রীলঙ্কা সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। ব্যর্থতা ভুলে দ্বিতীয় ম্যাচেই দারুণভাবে ...

ফুটবল

মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া

মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া

সম্প্রতি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জায়গা করে নেওয়া দল ফিল্ড ইউনাইটেডের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হামজা চৌধুরী একা ...

আর্জেন্টিনা: ৫, ব্রাজিল: ১

আর্জেন্টিনা: ৫, ব্রাজিল: ১

প্রথমবার ফুটসালের র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করলো আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা- ফিফা। নারী ও পুরুষ উভয় বিভাগে ...



রে