সাকিবের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল প্রধান উপদেষ্টা, ক্রীড়া উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টা
সাকিবের বর্তমান সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যেন তিনি সব দিক থেকে ব্যাকফুটে আছেন এবং এই জগাখিচুড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না। বলের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও ভালো কিছু করতে পারেননি সাকিব। এমন পরিস্থিতিতে একাদশে সুযোগ পাওয়া খুবই বিরল হয়ে পড়েছে তার। দুই ফরম্যাটকেই বিদায় জানিয়েছেন সাকিব।
আগামী মাসে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলবেন তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই যোদ্ধাকে আর কখনো টি-টোয়েন্টিতে দেখা যাবে না।
বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারের অনেক ভক্ত তার অবসরের ঘোষণায় ব্যথিত। ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য দুঃখজনক। অনেক ভক্ত কাঁদতে শুরু করেন।
অবসর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, 'আমার মনে হচ্ছে যেন আমি আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছি, আমি যদি মিরপুর টেস্ট (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) খেলি তাহলে এটাই হবে আমার শেষ টেস্ট।
তবে দেশে ফেরা নিয়ে সাকিবেরও কিছু 'সমস্যা' রয়েছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। ফেরার সময় গ্রেফতার বা অন্যান্য হয়রানির ঝুঁকি রয়েছে। শুধু তাই নয়, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাকিব। দেশে ফেরার জন্য কিছু শর্তও জুড়ে দেন তিনি। এখন দৃষ্টি বিসিবির দিকে। তারা কি সিদ্ধান্ত নেয়?
সাকিব বলছিলেন, ‘আমি যেন গিয়ে খেলতে পারি এবং নিরাপদ অনুভব করি। যখন দেশের বাইরে আসার দরকার হবে, দেশের বাইরে আসতেও যেন আমার কোনো সমস্যা না হয়। বোর্ড খেয়াল রাখছে, বিষয়গুলোর সঙ্গে যারা জড়িত তারা দেখছেন। তারা হয়তো আমাকে একটা সিদ্ধান্ত দেবেন, যেটার ভিত্তিতে আমি দেশে গিয়ে খুব ভালোভাবে খেলে অন্তত টেস্ট ফরম্যাটটা ছাড়তে পারব।’
দেশের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানো প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, 'আমার কাছে দেশের সমর্থকদের সামনে টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করাটা উপযুক্ত হবে বলে মনে হচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে এবং এই ফরম্যাটের শেষটা আমি ঘরের মাঠেই করতে চাই। আমি বিসিবির কাছে নিজের শেষ টেস্টটি মিরপুরে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি। যদি তা না হয়, তাহলে কানপুরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিই আমার শেষ টেস্ট হবে।'
এদিকে নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত ও দেশে ফেরা নিয়ে বিসিবির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে সাকিবের। তিনি বলেন, ‘দেখুন, এখন পর্যন্ত আমি তো অ্যাভেইলেবল। দেশে যেহেতু অনেক পরিস্থিতি আছে, সবকিছু অবশ্যই আমার ওপর নির্ভর করছে না। আমি বিসিবির সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদেরকে বলা হয়েছে আমার কী পরিকল্পনা। এই সিরিজ আর হোম সিরিজটা আমি ফিল করেছিলাম আমার শেষ সিরিজ হবে, টেস্ট ক্রিকেটে স্পেশালি।’
সাকিব আরও যোগ করে বলেন‘এভাবেই বিসিবি সভাপতির সঙ্গে ও নির্বাচকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যদি সুযোগ থাকে, আমি যদি দেশে যাই, খেলতে পারি, তাহলে মিরপুর টেস্ট হবে আমার জন্য শেষ। সেই কথাটা বোর্ডের সবার সঙ্গে বলা হয়েছে। তারা চেষ্টা করছেন কীভাবে সুন্দরভাবে আয়োজন করা যায়’।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও ক্রীড়া উপদেষ্টা খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন... বাংলাদেশ সরকার থেকে যে পরিস্কার ম্যাসেজটা আছে- যে মামলাগুলো হয়েছে এ ব্যাপারে কাউকে অন্যায়ভাবে হেনস্তা করা হবে না। আমরা মনে করি, সাকিবের ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের অবস্থান সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন।